জাতিসংঘের টেলিযোগাযোগ বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন নতুন ধরনের একটি মোবাইল চার্জারের অনুমোদন দিয়েছে যা যে কোনো ধরনের মোবাইল ফোন চার্জ করতে ব্যবহার করা যাবে। খবর সিএনএন এর।
মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারকদের সংগঠন জিএসএমএ এক তথ্যে জানিয়েছে, প্রতি বছর কেবল পরিত্যক্ত মোবাইল চার্জার থেকেই তৈরি হয় ৫১,০০০ টন প্রযুক্তি আবর্জনা।
সিএনএন এর বরাতে জানা গেছে, এর কারণ হলো- কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী যখন নতুন ও অপেক্ষাকৃত আধুনিক সেট কেনেন তখন তার পুরোনো চার্জারটিও ফেলে দিতে হয়, কেননা এক ব্র্যান্ডের চার্জার অন্য ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যায় না।
সিএনএন জানিয়েছে, নতুন চার্জার প্রচলিত হলে মোবাইল ফোন চার্জার নির্মাণের ওপর চাপ কমবে।
এদিকে জিএসএমএ বলেছে এর ফলে প্রতি বছরে ১৩.৬ মিলিয়ন টন গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সম্ভবপর হবে।
টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ব্যুরোর অধীন আইটিইউ এর পরিচালক ম্যালকম জনসন বলেছেন, এই মোবাইল চার্জিং পদ্ধতি গ্রহণের ফলে মোবাইল ফোনজনিত পরিবেশ বিপর্যয় কমানো সম্ভব হবে। তিনি একে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই বর্ণনা করেন।
উল্লেখ্য, এই চার্জারের শেষ প্রান্তে থাকবে একটি মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট। ডিজিটাল ক্যামেরায় যে পদ্ধতিতে ইউএসবি কেবল ব্যবহার করা হয়, এ চার্জারেও ঠিক সেভাবেই তা ব্যবহার করা যাবে।
তবে জাতিসংঘের টেলিযোগাযোগ বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এই চার্জার মোবাইল কোম্পানিগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করবে না। তারা বলেছে, কিছু প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই স্বাক্ষর করেছে।
সনি এরিকসনের মুখপাত্র অ্যালডো লিগিও বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘২০১০ সালের প্রথমার্ধের মধ্যেই এই চার্জার আমরা প্রচলনের পরিকল্পনা নিয়েছি। সে সময় থেকে প্রতিটি নতুন মোবাইলের সঙ্গেই আমরা এই চার্জার দেবো।
(সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪, "টেক")
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।