গলিত,থকথকে,নষ্ট সময়ে আমাদের অধিবাস। যেখানে নপুংসকরো শিশ্নের বাহাদূরী দেখায় আর দালালরো হাততালি দেয়। মগজ বেঁচা বুদ্ধিজীবিরা মিডিয়ায় বসে চর্বিত চর্বন করে। আর অধিকাংশরা মাথায় মগজ বলে কোন চীজ আছে তা ভুলে গিয়েছে। বৃটিশেরা বাপের ব্যাটা।
দুইশ বছর এমন টাইট দিয়েছে যে, দুইবার বাহ্যিক স্বাধীনতা অর্জন করলেও বুদ্ধির স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি বঙ্গবাসী। নজর এখনো তাদের মনিবের পাঁ চেটে দুটি পয়সা গাঁটে গোঁজার দিকে। তাই মাথা উঁচু করে এখন আর আকাশ দেখতে পারে না আর আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন সেই সুযোগে অক্কা পেয়ে স্বর্গে গেছে। আমাদের চাকরেরা এইজন্য বৃটিশদের ধন্যবাদ দিতে পারতো (অবশ্য তাদের মাথাওতো সেই গড়ের মাঠ) যার জন্য পাঁচ বছর অন্তর অন্তর একই বায়োস্কোপ দেখিয়ে জনসেবার সুযোগ পাচ্ছে!
মগজ বা বুদ্ধি যাদের নেই, অনুভূতি দ্বারা তারা পরিচালিত হয়। এই বঙ্গভূমির মানুষের অবস্থাও তাই।
স্বাভাবিকভাবে বুদ্ধির অভাবে ধর্ম এবং ধর্ম ব্যবসাকে তাদের আলাদা করতে পারার কথা নয়। এ কারণে ধর্ম ব্যবসায়ীরা যখন নিজেদের আখের গুছানোর জন্য হাঁক ছাড়ে তখন তারা দলে দলে যোগদান করে। এই সব ধর্ম ব্যবসায়ীরাও মাশাল্লা! ছোট ক্যাপসুলের মাধ্যমে যেমন অনেক রোগের দাওয়াই ভরে দেয়া যায় তেমনি এমন কোন জিনিস নেই যা ওরা ধর্মের মাধ্যমে দিতে পারেনা। স্বার্থের জন্য যাকে লাথি মারে তাকেই আবার বুকে টেনে নেয়। একসময় নজরুলকে কাফের বলে গালি দিলেও এখর নিজেদের করে নিয়েছে।
বর্তমানের নাস্তিক হুমায়ুন আজাদকে কয়েক যুগ পরে, আমার বিশ্বাস তারা যদি আজাদের সমগ্র রচনা পাঠ করে তবে এখনই নিজেদের করে নেবে।
এই হাওয়ায় চলা দেশের মানুষের সামনে নিশ্চিত ধ্বংস অপেক্ষা করছে, সেদিকে কারও খেয়াল নেই। অথচ এ রকম দেশ কারও কাঙ্খিত নয়। এ সোনার দেশের জন্য এ রকম পরিস্থিতি হবার কথা ছিল না। ভার্জিল, সেলুকাস কি এই মাটির বিজয় গাঁথা লিখেছিল? বিশ্বাস হয় না।
বিশ্বাস হয় না এখানেই অনেক স্বপ্নবান মানুষ জন্ম নিয়েছিল, যারা চিন্তা চেতনায় ছিল সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে। অথচ তাদের প্রিয় স্বদেশেই আজ চলছে হরির লুট। হায়! কবে এর থেকে মুক্তি, কবে???
৩১.১২.২০০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।