মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হলে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে ক্যাম্পেইন করবে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনকে এই যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসি বিপক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য চেষ্টা করা হবে।
এমনকি বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রত্যেক দলেরই অধিকার রয়েছে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করার।
অ্যামনেস্টির বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ এইমস্ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আজ বুধবার এই কথা বলেন।
শাহবাগ আন্দোলনের তরুণ প্রজন্মরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবী আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে, তাদের এই দাবীর সাথে কোনভাবেই একমত নন।
শাহবাগের তরুন প্রজন্মের সমালোচনা করলেন লন্ডনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শাহবাগের তরুন প্রজন্মের এই আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীর বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার এই মানবাধিকার সংগঠনটি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কেন নিশ্চুপ ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমি সঠিক জানি না।
তবে, সে সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ছোট সংগঠন ছিল। ঐ সময় এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্বের প্রত্যেকে বিষয় নিয়ে কাজ করা সম্ভবপর হয়ে উঠে নি।
কোন পক্ষ কর্তৃক অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিভ্রান্তের শিকার হচ্ছে কিনা - এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে ভিকটিম এবং তার অপর পক্ষ সবার থেকেই তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা বিশ্লেষণ করেই কাজ করে যাচ্ছি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে, এতে কারো কোন হস্তক্ষেপ নেই।
এই সপ্তাহের মধ্যেই শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ব্লগার রাজিব এর মৃত্যূ নিয়ে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানান।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এর বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তারা। এই বিষয়ে কোন পক্ষের হয়ে কাজ করছে না বলে জানায় তিনি।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফরে আসছেন অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক রির্সাচ এর প্রধান আব্বাস ফয়েজ। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যেই তারা বিস্তারিত আকারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলেও জানায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।