নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রতিষ্ঠা ও একদলীয় নির্বাচন ঠেকানোর প্রস্তুতি হিসেবে সারা দেশে সাংগঠনিক সফর করছেন বিএনপির নেতারা। কোন্দল নিরসন এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য হলেও কর্মিসভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে একাধিক জেলায় তা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা।
বিএনপির এই সাংগঠনিক সফরের সাফল্য নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ‘শক্তি’ দেখানোর মহড়া থেকে মূলত সংঘর্ষ হচ্ছে।
এতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বদলে দলীয় বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তবে তার পরও জেলা পর্যায়ের নেতারা বলছেন, এই সফরে তৃণমূল চাঙা হচ্ছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত ৫৬টি দল ৭৫টি সাংগঠনিক জেলা সফর শুরু করেছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। ইতিমধ্যে বরিশাল, সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম (উত্তর), খুলনা, মাগুরাসহ অনেক জেলায় সফর শেষ হয়েছে।
বেশির ভাগ সফর হবে মাসের শেষ কয় দিনে।
এই সাংগঠনিক সফরে জেলায় গিয়ে প্রধানত কর্মিসভার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কর্মিসভাকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজারে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার কর্মিসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিরোধের কারণে চট্টগ্রাম নগরের কর্মিসভা এখনই করতে পারছে না বিএনপি।
খুলনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এবং সিলেটে স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দলীয় কর্মীরা। বান্দরবানে কর্মিসভা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। রংপুরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।