বা
আমি শহরের অন্দর মহলে ঢুকে পরি
একজন না-নর না-নারী কিম্বা হা-নর হা-নারীকে নিয়ে এই শহরে কোথায় যাই?
টি এস সি-তে আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ অনুপমা, আমি উধাও,
রিক্সায় আইসক্রীম খেতে খেতে
টনির ম্যাছে ঢুকেছি কতবার, সেই টনি বললে -ছি!
আবাসিক যেই হোটেলটিতে ঢুকলে তরল অনল
আর শারীরিক ফুর্তির আয়োজন করে দিত এক ফুৎকারের মত ইঙ্গিতে
সেই রমিজ ঠোঁটে নিয়ে চিপটির
সুদৃশ্য বর্নালী বললে,-এতোটা নিচে নামতে পারি না , স্যার।
পরিত্যাক্ত এক পাবলিক টয়লেটে যেতেই
লাল ফিতার রমনী প্তি হয়ে উঠলো,
হিজড়াগুলোর জ্বালায় দিন দিন খদ্দের হারাতে হচ্ছে - বলে।
অবশেষে পার্কে বসে বাদাম চিবুতে চিবুতে
সে তার হৃদয় মেলে ধরল, কান পেতে শুনি -
একটি দাঁড় কাক অনবরত কা কা ধ্বনি তুলে যাচ্ছে সৃষ্টিছাড়া কর্কশতায়,
হৃদয়জমিন ফেটে চৌচির খাঁ খাঁ রোদ্দুরের তপ্ততায়,
বৃষ্টি এসে একটা ঘাসও জন্মায় না, কখনও আকাশ ফুড়ে এসিড বৃষ্টি আসে,
দেহ ঝলসে যায়।
আমি শহরের অন্দর মহলে ঢুকে পরি, শহরকেই বেআব্রু করে ফেলি।
এই শহরে স্বর্ণলতার অলংকার গলায় দুলিয়ে চড়ুইভাতি খেলার দৃশ্য বেমালুম অদৃশ্য,
ডুবো জলে সাতার কেটে মাছ ধরার উচ্ছ্বাস কোথাও পাই না খুজে।
এই শহরে নরেরা সব আপন নারীতে কান্ত, ব্যাংক লকারে জমা পরে
সারি সারি হৃদয়, ছিনতাই হয়ে যায় প্রেমিক-প্রেমিকার দেহ।
এই শহরে শিকারের দৃশ্যাবলী কসাইখানায় বন্দী,
প্রকৃতিকে সযত্নে লুকিয়ে রাখার প্রবণতা সুস্পষ্ট,
তবু আমি আদিগন্ত আঁধারচুম্বী অরণ্যে- মানুষখেকো বাঘের
হাড় চিবুনোর দৃশ্য কিম্বা মানুষের উদ্দাম নৃত্য মৃত বাঘ ঘিরে,
তেমনি দৃশ্য দেখি, রাজপথে- মানুষের লাশ ঘিরে মানুষের উল্লাসে।
সৃষ্টির উল্লাসে শহরকে বেআব্রু করতেই
জড়ায়ুহীন ক্লীবের ক্রন্দন শুনতে পাই যা আমি শুনেছিলাম
পার্কে বসে বাদাম চিবুতে চিবুতে না-নর না-নারী কিম্বা হা-নর হা-নারী রূপী
প্রকৃতির ব্যতিক্রম অস্তিত্বের হৃদয়ে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।