আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন
নিম্নগামী একটা বিকেলে বসে আছি প্রাচীন গন্ধের মফস্বলের এক প্রান্তে,
ঠিক ১৩ টা প্রবাহ যেখানে মিশেছে শান্তিবাগে। সেখানে শাপাচ্ছি একসারি কলাগাছ আর সরষে ক্ষেতটাকে।
মগজের সর্বশেষ গলিতেও তখন ছন্দের কালোবাজারি নেই একটাও।
তিন নম্বর সিগারেটটা ধরাচ্ছি তখন...........................
ঘুরে দেখলাম শহরের শুরুর দিকে,
গোঁফওয়ালা এক পাগল দৌড়াচ্ছে অনিয়মিত সরষে ক্ষেতের দিকে।
একোনা থেকে ওকোনা অচ্ছ্যুৎ গোড়ালিতে আর পেছনে হায়েনার মতো দাবড়াচ্ছে
দুইটি কোমল শিশু ঢিল ছুঁড়তে ছুঁড়তে।
আমি ভাবলাম ওকে শহর থেকে তাড়িয়ে দিতে চায় ওরা।
পাগলটা ঠিক ঠিক আমার সামনে এসে হাজির হলো, আমার পায়ে এসে লাগলো একটা ঢিল।
বিরক্ত মুখে তাকাই ও’দিকে এবং ঘাড় কাত করে অসহায় পাগলটা আমায় বলল একটা শব্দ,
“মারে!”
এবং আরো কিছু ঢিল।
উদ্ধারকর্তার আবির্ভাবে তার কপালে জুটলো কিঞ্চিত প্রহার এবং সেন্সর্ড গালি,
ওকে তারা ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে গেলো শহরের দিকে।
শহরের বাইরে ওর যেনো ভীষণ বিপদ।
পাগলটা বার বার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিলো এবং একরংয়ে নাচছিলো কিছু কাক আকাশে।
দুই গল্প শেষে,
বসে থাকি স্থির দীর্ঘ মূহুর্ত কতোগুলো এবং তারপর প্যান্টের ধুলো ঝাড়ি আপন চিন্তায়,
আমাকে কে মারে?
বয়স মারে, তামাক মারে, সুখী স্বপ্ন মারে, হলুদ বিকেল মারে, কুৎসিত শব্দ মারে, মারে ভারি নিতম্বের গান, অদৃশ্য হাতে মারে।
আর মারে এ শহর।
শুধু বাঁচিয়ে রেখেছে একটা অসম্ভব নদী।
পাগলটাকে যদি বলতে পারতাম এক শব্দে এই প্রলাপ।
তাই সংক্ষিপ্ত দীর্ঘশ্বাস ও প্যান্টের আরো কিছু ধুলো ঝেড়ে পা বাড়ালাম
কৃপণ শহরের দিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।