সবাইকে শুভেচ্ছা...
দৈনিক আমাদের সময় সম্পাদক জনাব নাঈমুল ইসলাম খানের লেখা যারা অনুসরন করেন তাদের হয়ত জানার কথা, মাঝে মধ্যে মানুষটা এমন সব বিষয়ে নিজ পত্রিকার প্রথম পাতায় লিখে থাকেন যা পড়ে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে। উনি নিজেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে দৈনিকটির জনপ্রিয়তার কথা বলে থাকেন, এমন একটা ’জনপ্রিয়’ পত্রিকার প্রথম পাতায় যদি সম্পাদকের দ্বিতীয় সন্তান লাভের খবর, নিজের অষ্ট্রেলিয়া সফরের বিশদ বিবরন, অথবা এখন হতে উনি আমাদের সময়ের সপাদকের বদলে অন্য এক সম্পাদক নামে পরিচিত হতে চাইছেন, এ জাতীয় খবর প্রকাশ পায় পত্রিকার গুনগত মান নিয়ে আমার মত অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে বাধ্য। ভদ্রলোক আজকের সংখ্যায় তেমনি একটা লেখা দিয়ে পাঠকদের (আমিও একজন) অবাক করেছেন। লেখাটা চট্টগ্রাম কোতওয়ালী আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ জনাব নূরুল ইসলাম বিএসসি কে নিয়ে। উনি আক্ষেপ করে লিখেছেন, যোগ্যতা থাকা সত্বেও কেন এই শিক্ষককে ভাল কোন পদ দেয়া হচ্ছেনা।
সন্দেহ নেই ন্যায্য প্রশ্ন। কিন্তূ এ ধরনের আক্ষেপের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে উনি সে সমস্ত তথ্যাবলী তুলে ধরেছেন তা জনাব বিএসসির সূনামের চাইতে উনার আয় রোজগারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য। উনি লিখেছেন, জনাব ইসলাম সরকারী পদবী অথবা বরাদ্দের তোয়াক্কা না করে দেদারসে সৃজনশীল উন্নয়ন্মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। উদাহরন হিসাবে বলছেন, এই নিবেদিত রাজনীতিবিদ গত দুই যুগে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দান করেছেন। আর ব্যক্তিগত তহবিল হতে দানের পরিমান শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
যোগ করলে এ অংকের পরিমান দাড়াবে ১৫০ কোটি টাকা।
প্রশ্ন করলে কি খুব অন্যায় কিছু হবে; প্রথমত, একজন শিক্ষক হয়ে এত অর্থ উনি কোথায় পেলেন? আর যদি দানের অর্থ বৈধ পথের আয় হয়ে থাকে, তা হলে এ অর্থের বিপরীতে উনি কি সময়মত কর পরিশোধ করেছিলেন? আমার মত অনেকেই বিশ্বাষ করে বাংলাদেশের রাজনীতি হচ্ছে পকেট ভারী করার অন্যতম হাতিয়ার। জনাব নুরুল ইসলাম বিএসসি এই ধান্ধার দুনিয়ায় বাস করে সৎ পথে ১৫০কোটি টাকা দান করেছেন এমন একটা তথ্য ঘাটাঘাটি করতে দেশের র্দুনীতি কমিশন এগিয়ে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। আশাকরি জবান নাঈমুল ইসলাম খান তখন দুদুককে সাহায্য সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসবেন। আর তিনি যদি পিছলে যান ধরে নিতে হবে লেখাটা ছিল সাংবাদিকদের নৈমত্তিক ধান্ধাবাজির নতুন এক অধ্যায়।
সূত্রঃ ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।