নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা যখন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে জড়ো হতে আরম্ভ করে তখন থেকেই আমার মধ্যে একটি আশঙ্কা কাজ করছিল তা হলো- আন্দোনকারীদের প্রাণ নাশ করার চেষ্টা জামাতের সান্ত্রাসীরা করতে পারে । এবং এই ব্যাপারটি লেখার জন্য আমার মধ্যে বড়ই ইচ্ছে জাগে, কিন্তু লেখা হয়নি । পরে আমাদের ব্লগার ভাই থাবাকে (রাজীব) জামাতের সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে হত্যা করে । এই হত্যা কাণ্ড পুরো জাতিকে নাড়া দিয়েছে । আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি ।
কেউ যদি মনে করে শুধু রাজীবকে হত্যা করেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হবে তাহলে সেটা ভুল হবে । নতুন প্রজন্মের এই আন্দোলন না ঠেকাতে পারলে জামাতের অস্বিত্ব যে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হবে সেটা জামাত ভালো করেই উপলব্ধি করতে পেরেছে, তাই তরুণদের জামাত-শিবির বিরোধী এই আন্দোলন কে ব্যর্থ করতে জামাতের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারীদের ওপর বড় ধরণের আক্রমণের পরিকল্পনা করছে । এই কাজে পাকিস্তানের জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের জামাতে ইসলামীকে সব রকমের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । যেহেতু বাঙালিদের ভাষা আন্দোলনই বাংলাদেশের অন্যতম ভিত তাই ২১শে ফেব্রুয়ারির দিনই আক্রমণের উপযুক্ত দিন হিসেবে স্বাধীনতা বিরোধীরা বেছে নিয়েছে ।
আমি পাকিস্তানের অনেক কট্টর ইসলামী গোষ্ঠীর সদস্যদের সাথে কথা বলেছি; তাদের মধ্যে বাংলাদেশের জামাতকে সাহায্য করার প্রবল ইচ্ছে দেখতে পেয়েছি ।
পাকিস্তানের তথা কথিত ইসলামী সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকেই আমি জেনেছি যে তাঁরা বাংলাদেশের জামাতকে আস্ত্র ও লোক দিয়ে সাহায্য করতে যাচ্ছে । তবে যেহেতু আমি একজন সাধারণ মানুষ তাই ইসলামী জঙ্গীদের গোপন তথ্য সম্মন্ধে আমার তেমন কোনও ধারণা নেই । পাকিস্তান থেকে বেশ কিছু পাকিস্তানি জঙ্গী পিআইএ, আমিরাত ও সৌদির ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে । তাছাড়া, ভারত থেকে কিছু পাকিস্তানি জঙ্গী স্থল পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা জানিয়েছে ।
এই সব তথা কথিত ইসলামী জঙ্গীরা সারা দেশের আন্দোলনকারীদের ছত্র ভঙ্গ করতে ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
এক সময় জামাত ও পাকিস্তানিরা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশের বিরাট ক্ষতি করেছিল । আজ আবার তাঁরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তরুণ আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ করে আমাদের প্রগতিশীল সমাজকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার নোংড়া প্রয়াস করতে যাচ্ছে । এই তরুণ-তরুণিদের সুরক্ষার জন্য পুরো জাতিকে জেগে উঠতে হবে । জামাত-শিবিরের সকল কর্ম কাণ্ডের ওপর নজর রাখতে হবে । বাড়ির মালিকদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা ভালো করে না জেনে অপরিচিত কাউকে বাসা ভাড়া দিবেন না ।
প্রিয় দেশবাসী আপনারা জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে সদা জাগ্রত থাকুন । জামাত-শিবিরকে প্রতিহত করুন ।
আমি আমার প্রিয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো- আজ আপনার হাজার হাজার সন্তান দেশের জন্য রাজপথে খোলা আকাশের নিচে আন্দোলন করছে, তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন । সর্ব শক্তি দিয়ে তাদেরকে নিরাপত্তা দিন । গোয়েন্দা, পুলিশ, বিজিবির মাধ্যমে জামাত-শিবিরের প্রতিটি কর্মীকে চোখে চোখে রাখুন ।
শাহবাগসহ আন্দোলনের সকল কেন্দ্র গুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হোক । শহরের প্রবেশ পথ গুলোতে বিশেষ তল্লাশির ব্যবস্থা করুন । জামাত-শিবিরের নেতা কর্মীদের ঘরে ঘরে চেকিং-এর ব্যবস্থা করুন ।
পরিশেষে লিখবো, জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের নাশকতা ঠেকাতে সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করুন । আর আমার ব্লগার ও আন্দোলনকারী ভাইরা, আপনারা নিজেরাও সমাবেশ স্থলের চতুর্দিকে বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তুলুন ।
আর জামাত-শিবিরের কাউকে যদি ধরতে পারেন তাহলে তাকে চৌরাস্তার মোড়ে সবার সামনে ফাঁসি দিন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।