ভালোবাসা প্রকাশের একটি মাধ্যম হলো চুম্বন। বিশ্বের অনেক দেশেই চুম্বনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানোর রীতি রয়েছে। হোমারের রচনা থেকে জানা যায় যে, প্রাচীন গ্রিসে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পন্থা হিসেবে ঠোঁট, হাত ও পা চুম্বনের প্রথা প্রচলিত ছিল। প্রাচীন রোমে, ইসাক ডি'ইসরায়েলির বর্ণনা থেকে জানা যায়, কেউ যদি একনায়কের হাতে চুম্বনের অনুমতি পেতেন তাহলে তারা নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করতেন।
এখানেই শেষ নয়, এ ব্যাপারে গবেষকরাও পিছিয়ে নেই।
তারা স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে চুম্বনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান। গবেষকরা বলছেন, তীব্র মানসিক চাপের সময় ভালোবাসার মানুষটির একটি চুম্বনেই চাপ অনেকখানি কমে যেতে পারে। নিয়মিত চুম্বনে মানুষের যৌবন বৃদ্ধি পায় বলেও তারা জানিয়েছেন। তাহলে জেনে নেয়া যাক চুম্বনের উপকারিতার দিকগুলি।
- দুজন ব্যক্তি পরস্পরকে চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় ৩০টি পেশি ব্যবহৃত হয়।
এতে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং বয়সের কারণে সৃষ্ট মুখের বলিরেখা কমায়।
- প্রায় ২ মিনিট ধরে চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। চুম্বনে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুম্বনের জুড়ি নেই।
- চুমু খাওয়া দাঁতের জন্যও উপকারী। চুম্বনের সময় মুখের সালাইভা ফ্লো বাড়ে এবং এর ফলে দাঁত পরিষ্কার হয় ও ভালো থাকে।
- যারা চুমু খেতে ভালোবাসেন এবং নিয়মিত চুমু খান তাদের ইনসোমনিয়ার সমস্যা হয় না। অন্যদের তুলনায় তারা মানসিকভাবে স্থির প্রকৃতির হয়।
- নিয়মিত চুম্বনকারী দম্পতিরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সুখী হয়। চুম্বনের সময় শরীর সুখাঅনুভূতির হরমোন তৈরি করে। যার ফলে তারা অন্যদের থেকে বেশি প্রশান্তিতে থাকে এবং যে কোনো লক্ষ্য সহজেই অর্জন করতে পারে।
- চুম্বনের ফলে দেহে অক্সিটোসিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা দেহকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করে।
- নিয়মিত চুম্বনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- চুম্বন করলে মেজাজ ফুরফুরে থাকে। প্রতিদিন সকালে মাত্র ২ মিনিট চুম্বন করলে সারাদিন আপনার মন উৎফুল্ল থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।