ছড়া প্রান প্রানের প্রান, ছড়ায় শুঁকি সুখের ঘ্রান।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রতিটি দিন বিজয়ের ছড়া
দিতে চাইছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় এটি
ব্লগারদের তেমন ভালো লাগেনি! শেষবার পোষ্টগুলো একত্রে দিলাম।
জানিনা কারো ভাল লাগবে কিনা! খারাপ লাগলে দয়াকরে বলবেন।
ভালো লাগলেও বলবেন।
তবেই মাসের বাকি দিনগুলোতে বিজয়ের পোষ্ট দিতে উতসাহ বোধ করবো।
আগের পোষ্টগুলো নিচে দেখুন-
বিজয়ের লেখা- ১৮ : ডিসেম্বরের ষোল মানে!
ডিসেম্বরের ষোল মানে
পাক বাহিনীর হরা
পতপতানো লাল সবুজের
পতাকাটা ধরা।
ডিসেম্বরের ষোল মানে
মুক্ত স্বাধীন হাওয়া
একাত্তরের শিকল ছিরে
স্বাধীনতায় নাওয়া।
ডিসেম্বরের ষোল মানে
বিজয় মিছিল করা
বিশ্বমাঝে বাংলাভাষীর
ইতিহাসটা গড়া।
বিজয়ের লেখা- ১৭ : একাত্তরের ছড়া!
তোমরা যারা আজকে তরুন
জানো ছিল কতো করুন
একাত্তরের সালটা?
কেমন করে সবুজ মাঝে
এলো সুর্য লালটা।
রক্ত কতো গেলো এতে
মা-বোনের ইজ্জতেতে
হায়না খেলে হলি,
বাবার কথা ভাইয়ের কথা
কার কথাটা বলি!
কত শিশু বাদ রাখবো
কত বধু বাদ
কতো রক্তে মিটলো জানো
হায়েনাদের সাধ!
সহজ পথে বিজয় কভু
আসে নাকো ঘরে
এই সত্য বাঙ্গালীরা
বুঝলো একাত্তরে।
(বিজয়ের সব ছড়াগুলো একাত্তরে প্রাণ দানকারীদের উৎসর্গ করলাম)
বিজয়ের লেখা- ১৬ : জীবন দেবার পন!
জীবন দেবার পন করতে না বাধে
রক্ত যখন কাদে আর্তনাদে,
মায়ের খোকা কোল ছাড়ে কি সাধে
মায়েরও দায় আসে যখন কাধে।
সুখের বাসা নষ্ট হবার কারণে
দামাল ছেলে থামে নাকো বারণে,
অস্ত্র হাতে ন মাস রনাঙ্গনে
মায়ের জন্য জীবন দেবার পনে।
হায়না তাড়ায় শক্ত কঠিন হাত দিয়ে
ভাষা তাই বাংলা নয় বাদ দিয়ে।
বিজয়ের লেখা- ১৫ : বিজয়ের ছড়া!
হায়না এলে
মায়ের ছেলে
আঁচল ছারে পনে,
মায়ের লাগি বিজয় তবে
আনবো ঠিকই সনে।
রক্ত নদী
বহে যদি
তবুও রনাঙ্গনে,
জীবন বাজি ধরবো ঠিকই
স্বাধীনতার পনে।
এমনি পনে
শত্রু সনে
সারে নমাস লড়ায়,
মায়ের ছেলের হাত ধরে যে
বিজয় আসে ধরায়।
বিজয়ের লেখা- ১৪ : না শোধার ঋণ!
ডিসেম্বরের বিজয়
পেতে আমার ভাইয়ের কত
হয়েছে রক্ত ক্ষয়?
আমরা কি আর তবে
তাদের ঋণ কোন ভাবেই
শুধতে পারি ভবে?
বিজয়ের লেখা- ১৩ : যাদের নাই লাজ!
বিজয় নিয়ে মাতামাতি
ইতিহাসে হাতাহাতি
ওরাই করে আজ,
পাক বাহিনীর দোষর যারা
যাদের নাই লাজ।
বিজয়ের লেখা- ১২ : হায়!
রাজাকার আলবদর
বাস করে বঙ্গে
মাঝে মাঝে পুরান রোগে
মেতে উঠে রঙ্গে।
ক্ষমতাটা হাতে পেয়ে
তাধিন তাধিন ঢঙ্গে
অস্ত্র হাতে বুলেট ছোরে
মুক্তিকামীর অঙ্গে।
বিজয়ের লেখা- ১১ : একাত্তরে
একাত্তরে বজ্র কঠিন
তান ছিল
দেশের লাগি দেবার মতো
জান ছিল।
হায়েনাদের লড়ার সাহস
কম ছিল
বাঙ্গালীরা হাযেনাদের
যম ছিল।
বিজয়ের লেখা- ১০ : মা তোর গর্ব
মাগো তোর দামাল ছেলে
আর ফেরেনি বলে
ভাসাস কেন সপ্নগুলো
নয়ন নোনা জলে।
দেখ মা তোর ছেলেরা আজ
ইতিহাসের পাতায়
বাংলাদেশের হয়ে ওই
সারাবিশ্ব মাতায়।
তুই কেন কাঁদিস রে মা
তোর কি কাঁদা সাজে
বীর সন্তানের জননী তুই
তোর গর্ব আজ-এ।
প্রকাশিত: সবুজ আসর।
বিজয়ের লেখা- ৯ : হানাদারদের বলি
অবোধ নয়রে অবোধ ভেবে
করলি যখন হামলা
বাঙ্গালীদের
প্রতিরোধের
আঘাত তবে সামলা।
চিনতে বাকি
ছিল নাকি
বাঙ্গালী কি জাত,
হানা দিতে এসে নিজেই
করলি রক্তপাত।
অবোধ কে বুঝলি এবার
অবোধের দল
বাঙ্গালীদের করলে আঘাত
এমনই হয় ফল।
বিজয়ের লেখা- ৮ : আমরা সবুজ লাল
রনাঙ্গনে
দৃপ্ত পণে
সারে নমাস লড়ায়,
আধার টুটে
আলো ছুটে
পড়লো এসে ধরায়।
হলাম স্বাধীন
নই পরাধীন
আমরা সবুজ লাল,
শ্রেষ্ঠজাতী
বীরের জাতী
আমরা যে বাঙ্গাল।
বিজয়ের লেখা- ৭ : বীর যোদ্ধার চিতকার
(হৃদয় বিক্রি করে মৃক্তিযোদ্ধার সুখ কিনে দিতে চাই।
আমার সামনে যখন মুক্তিযোদ্ধা অন্যের জমিতে কাজ
করে তখন খুব অসহায় লাগে নিজেকে। অক্ষমতা আমাকে পোড়ায়। )
মনের সুখ চাই তবু
থাকনা পেটে ভুখ
এক সাগর রক্ত দিলাম
কোথায় আমার সুখ?
বীর যোদ্ধার চিতকারে
আতকে উঠে বুক।
আমাদের স্বাধীনতা
যাদের কাছে ঋণী
আজকে এসো ভালবাসায়
তাদেরই সুখ চিনি।
তাদের জন্য তুচ্ছ হৃদয়
করি বিকিকিনি।
বিজয়ের লেখা- ৬ : সেই পশুদের ধিক্কার
জান লুটাবে
মান লুটাবে
এমন ছিল তিক কার?
সেই পশুদের ধিক্কার।
একাত্তরে
এক আধ করে
বইলো যখন রক্ত বান
উঠলো তখন শক্ত তান।
করে আশা
নিজের ভাষা
বাঙ্গালীরা জাগলো
হায়েনারা সব ভাগলো।
রক্ত শোধে
প্রতিরোধে
বাঙ্গালীদের কি রুপ?
অভিজ্ঞতাও বিরুপ! (হায়েনাদের)
বিজয়ের লেখা- ৫ : রাজাকার
মুখোশ পড়ে লুকিয়ে আছে
বেশ ছাড়া কর
৭১র ঘাতক দালাল
দেশ ছাড়া কর।
বিজয়ের লেখা- ৪ : বাংলা হৃদয় মনি
ডিসেম্বরে
নিজের করে
বিজয় আনে বঙ্গে,
পতাকাটা
কপাল সাটা
লাল সবুজের রঙ্গে।
কাঁধে তার
বন্দুক আর
কন্ঠে স্বাধীন ধ্বনী,
রক্তে কেনা
স্বাধীন চেনা
বাংলা হৃদয় মনি।
বিজয়ের লেখা- ৩ : লাল সবুজের পতাকা
বীর সেনারা অস্ত্র ধরে
স্বাধীন হবো মন্ত্র পড়ে
করলো তাড়া হায়নাকে,
ফুটলো হাসি মায়ের মুখে
বাংলাদেশী স্বাধীন সুখে
পূর্ণতা দেয় বায়নাকে।
বাংলা বলে বাংলাভাষীর
কামার কুমার জেলে চাষীর
সুখের নদে তরী বায়,
স্বাধীন পাখা মেলে ওরে
এক সাগর রক্ত ক্ষরে
লাল সবুজের পতাকায়।
প্রকাশিত: সবুজ আসর, অংকুর মেলা।
বিজয়ের লেখা- ২ : খোকা হারা মা
সেদিন খোকা মাঝরাতে
ঘর ছাড়লো অস্ত্র হাতে
ফিরলো নাতো আর,
সেই বিরহে মায়েরও মন
উদাস হয়ে কাটায় যে ক্ষণ
ঘুম হারা চোখ তার।
খোকা খোজে তার দৃষ্টি
চোখের জলে হয় বৃষ্টি
কষ্ট তাকে শাসায়,
পথের পানে তবুও মা
সকল দৃষ্টি করে জমা
খোকা ফেরার আশায়।
প্রকাশিত: সাহিত্য সাপ্তাহিক।
বিজয়ের লেখা- ১ : ডাক এসেছে ডাক
ইচ্ছা ছিল ডিসেম্বরের প্রত্যেক দিন
একটি করে বিজয়ের ছড়া দেব।
বিভিন্ন কারনে হয়ে উঠে নি। আজ থেকে
শুরু করলাম। কেমন হবে তা ব্লগাররাই বলবে।
ডাক এসেছে ডাক
অস্ত্র করো তাক-
হায়েনাদের বুকে
দাও পেরেক ঠুকে!
যা আছে যা সাথে
বেড়োও সাহস হাতে
করবো হায়না লয়
ভয় করো না ভয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।