আমি নিশাচর
মহাশয় ধমক দিয়া কহিলেন জোড়ে হাটো, দিন দিন হস্তিসদৃশ হইয়া যাইতেছো জোড়ে চলিতে পারো না??? আমাকে দ্যাখো তোমার দ্বিগুন বয়সি হইয়াও ঘোড়াও
ন্যায় দৌড়াইতে পারি আর আমার শিষ্য হইয়া তোমার অবস্থা এই???
তো অগত্যা মহাশয়ের মান সন্মান রক্ষা করিবার জন্য হস্তি হইয়াও ঘোড়া সাজিতে গেলাম আর তাহাতে যাহা হইল তাহা হইল এই, কতক সুন্দরিদের সামনে আমি ডিগবাজি খাইয়া পরিয়া গেলাম, আর হস্তির এই ভূপাতিত হইবার সুন্দর দৃশ্য সুন্দরীদের ব্যাপক আনন্দের খোরাক জোগাইল, আনন্দে তাহারা খলবল করিয়া হাসিয়া উঠিল, মহাশয় কিঞ্চিৎ মজা পাইয়া কহিলেন আহা দুঃখ পাইয়ো না,তোমার পা আছে বলিয়া আছাড় খাইয়াছ চিন্তা কর যাহার পা নাই সেকি কোনদিন এত সুন্দরভাবে আছাড় খাইতে পারিবে ??? ওই কবিতাটির কথা মনে কর
একদা ছিল না জুতা চরণ যুগলে
দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখা কুল মনে
গেলাম ভজনালইয়ে ভজন কারনে
দেখি সেথা একজন পদ নাহি তার
ওমনি জুতার ক্ষেদ ঘুচিল আমার
পরের দুঃখের করিলে চিন্তন
আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষন
আমি মহাশয়ের কাব্যজ্ঞানে বিশেষ আহ্লাদিত হইলাম কিন্তু মনের কষ্ট মিটিল না,
সইসাই মহাশয় আমার সামনে নায়কচিত একটা লম্ফ দিলেন, আমি মনে করিলাম মহাশয় কি কারাতে প্রাক্টিস শুরু করিলেন নাকি ??? পরে যাহা বুঝিলাম, মহাশয়ের এই লম্ফের কারন হইল বেরসিক পাতলা গোবর, আর তাতে মহাশয় মোটামুটি গোসল করিয়া উঠিয়াছেন, চারিদিকে আবার খলবল হাসি উঠিল, আমি মহাশয়কে ধরিয়া উঠাইবার সময় বলিলাম আছাড়ের ক্ষেদ ঘুচিল আমার,মহাশয় আমার দিকে চাহিয়া কহিলেন তোমার জীবন বৃথা, আমি নতমস্তকে তাহা মানিয়া লইলাম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।