আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযোদ্ধাদের খতম করার নির্দেশ দিয়েছিল হায়েনা মুজাহিদ

এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যে প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে তা হলো কাদের এই বিচারের আওতায় আনা হবে? শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের সম্ভাব্য তালিকায় প্রথমেই আসে জামাতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামীর নাম। সে ই একাত্তরে নেতৃত্ব দিয়েছিল আল বদর বাহিনীর। নিজামীর মতো জামাতে ইসলামীর বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদও ছিল সেই আল বদর বাহিনীর ঢাকা মহানগরী প্রধান। মুক্তিযোদ্ধাদের দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে তার প্রকাশ্য নির্দেশ ছিলো তাদেরকে খতম করার।

কাজও করেছে সেভাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে সে কারণে নিশ্চিতভাবেই আসবে মুজাহিদের নাম। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক শাহরিয়ার কবির দেশ টিভিকে বলেন, মুজাহিদ যদি যুদ্ধাপরাধ না করে, তবে একাত্তরে আল বদর বাহিনী তাদের প্ররোচণায়, তাদের নির্দেশে সে সকল হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটিয়েছে তার দায়-দায়িত্ব কে নেবে? বঙ্গবন্ধু কখনও রাজাকার, আল বদর, যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করেননি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “সাধারণ ক্ষমার প্রেসনোটে আমরা দেখেছি, সেখানে ১৮টি অপরাধের কথা বলা হয়েছে এবং এই ১৮টি অপরাধের প্রায় সবকটিই মুজাহিদ করেছে, নিজামী করেছে, জামাতের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা করেছে। ” ঢাকার ফকিরাপুলে ফিরোজ মিয়ার বাড়িটি ছিলো রাজাকারদের ঘাঁটি। মুজাহিদের তত্ত্বাবধানে সেখানেই চলতো ঘাতক রিক্রুটমেন্ট, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পেছনেও ছিলো তার সক্রিয় ভূমিকা। ১১ ডিসেম্বর ’৭১-এও তাকে ঢাকায় বদর বাহিনীর সভায় বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। এ সম্পর্কে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, “আল বদর বাহিনীর কথা আমরা সবাই জানি। তারা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল এবং এর দায়-দায়িত্ব মুজাহিদের ওপরও বর্তায়। শুধু তাই নয়, তার নিজের এলাকাতেও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তথ্যাদি বর্তমান।

” অভিযোগ আছে, একইভাবে তার প্রত্যক্ষ নির্দেশে ফরিদপুরেও চলে হত্যাকাণ্ডসহ একের পর এক যুদ্ধাপরাধের ঘটনা। মুজাহিদের নিজের এলাকা ফরিদপুরের এক বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালা বলেন, “মুজাহিদ একজন কুখ্যাত রাজাকার। অবশ্যই আমি তার বিচার চাই। ” একাত্তরের নানা পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন গবেষণাতেও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বারবার উঠে এসেছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সঙ্ঘের সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদের নাম। বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় তাকেও মন্ত্রী বানানো হয়েছিলো।

তথ্যসূ্ত্রঃ
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.