প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)
মেয়ে.
কখনো কখনো সব কথা ফুরিয়ে যায়। ফুলের গন্ধ ফেরি করে ক্লান্ত দেহে শুয়ে থাকি সটান! ক্রসফায়ারে মৃত সন্ত্রাসী হয়ে উঠে বিকলাঙ্গ বোধেরা। আজ তারাবাজি খেলে খেলে কাটিয়ে দেব কুৎসিত সন্ধ্যা। তীব্র ঘৃণায় চোখ রেখেছি দশ বছর আগে,সময় টা যখন রোদের ছিলো। হাত ধরাধরি বৃষ্টির ছিলো।
তারপর আমি বদলে যাব গাঙচিলে। নদীতে। মরা মাছ কিংবা প্রজাপতির ডানায়।
তুমি.
কান্নার জলে লবণ থাকে। জলে মেশে লোনা অন্ধকার।
নীল শাড়ির রঙ মুছে গেছে মেহেদীর সাথে। রোদে ঘুরে পৃথিবী আরো কালো হয়ে উঠছে।
আজ ঘাসফুলেদের সাথে হবে গোপন অভিসার!!!!
ভুল.
সিকুয়েন্সিয়াল কোয়ালিটি কন্ট্রোলের কতক নিয়ম আছে। শুরুতেই দেখতে হয়,কয় টা ইউনিটে স্যাম্পল!!টোটাল স্যাম্পল দিয়ে ভাগ করতে হয় মোট রিজেক্টেড আইটেম কে।
কন্ট্রোল চার্টে চোখ রেখে বোঝা যায় লাভ-ক্ষতি।
সাহস করে একদিন এঁকে ফেললাম জীবনের কন্ট্রোল চার্ট। সব কিছু এলসিএলের নিচে পড়ে গেছে!!!!
রিভাইজড চার্ট আঁকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জীবন টা কে ঠিক ঠিক একদিন বন্দী করবো সিক্স সিগমায়!!!!
করে.
চোখের ফাঁক গলে আসো দুরন্ত আঙুর বাগান
কবি। আপনাকে বলছি।
দাদা।
এভাবে লিখবেন,ভাবিনি। এত টা সহ্য শক্তি এখন আর নেই। বাতাসে ভেসে বেড়াতে অভ্যস্ত আমি হঠাৎ ডুবে গিয়েছি নরকের অতলে। আগুন নেই। জল নেই।
দম বন্ধ সময়।
মাঝে মাঝে অবাক হয়ে আয়নায় খুঁজি,সবার দীর্ঘনিঃশ্বাসে কেন ভিজে উঠি বারবার!!!!
উত্তর মেলে না। আয়না উত্তল হয়ে উঠে,আমি ক্রমাগত সরে আসি। একসময় দেখি উল্টো প্রতিবিম্ব। তারপর চলে ঈশ্বরের সাথে কথোপকথন,নলখাগড়া আর সিগারেটের ছাই!!
ইদানিং ক্লান্ত হয়ে উঠেছি অনেক।
মুখোশে হাঁসফাঁস করে খুলে ফেলি। স্ব-রুপ লাগে ঘেন্না!!!
নিষ্ফল আবেগে খুঁজে ফিরি অন্ধকারের চোখ!!!!
এসব বলা ঠিক হয়েছে কিনা জানিনা। মাঝে মাঝে অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করে। আজ আমার সেই দশবছরী অভিশাপের জন্মক্ষন।
দুটো পান্জাবী,একটি গোলাপী ওড়না,পুরোনো ডায়েরী.......প্রতিবন্দী করে তুলেছে।
সারাদিন ধরে ভেবেছি......
দাদা,আমি নরকে যাব। কারণ,সে ও নরকে যাবে। নরক থেকে নিশ্চয় কেউ পালাতে পারে না।
কবি বলেছেন, কেউ কারো জন্যে নয়, প্রত্যেকেই নিজের জন্যে। এটাই সত্য।
কবি রা সত্য বলেন।
নুপুর.
সমুদ্র।
যারা কবিতা লেখে,সময়ে তারা বারুদ হতে ও জানে।
সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু চুরি করেছিলো ইস্ট ইন্ডিয়া,৭১ এর এই দিনে হানাদার চুরি করলো আমাদের বিবেক।
ওরা আজ কেউ টিকে নেই।
সূর্যসেন,প্রীতিলতা কিংবা মুজিব,তাজউদ্দীন রা বার বার আসেন।
সমুদ্র। কবি রা কারো স্বপ্ন চুরি করে না।
পরেছো.
কি নিমেষেই ফুরিয়ে গেলো দশ বছর। ধসে গেছি ক্রমাগত।
আর নয়। নতুন করে দেখবো আকাশ......
এখানে কোন আলো নেই। ঠান্ডা অন্ধকার। আমি কালরাতে ঈশ্বরের বরে সাপ হয়ে গেছি। আর ক্ষমা করে দিয়েছি সমগ্র অতীত কে।
হাতে.
মেয়ে তুমি ভুল করে নুপুর পরেছো হাতে........
শ্বাপদসংকুল সমাজ পথে হাঁটছো জোস্না রাতে......
মেয়ে তুমি ভুল করে নুপুর পরেছো হাতে........
শ্বাপদসংকুল সমাজ পথে হাঁটছো জোস্না রাতে......
এবং একটি সাদামাটা কথোপকথন ........
:তুই এখানে??সারা ক্যাম্পাস খুঁজছি তোকে....!!!!
:আমি কি তোকে খুঁজতে বলেছি??
:তুই বলবি!!! হাহ!! আমার ইচ্ছা হলো,তাই খুঁজছি.....!!!
:কেন??
:আজ আবার খাতা কেটেছিস কেন??
:লিখতে ইচ্ছে করছিলো না তাই.....
:তুই চাস টা কি বল তো??
:কিছুই না।
:কি হয়েছে বলতো??
:আজ ১৪ তারিখ। তোকে বলেছিলাম....
:তোকে না বলেছি এসব ভুলে যা....!!আমার এই কথা টা রাখ!!
:তুই যা। তোকে আমাকে নিয়ে কথা হয়...
:হোক। আমার কিছু যায় আসে না।
: ...................................
থাক। ওরা কথা বলুক। আমরা সরে আসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।