কবিতা: আত্মা যখন সততার রোদে হাঁটে
-এম জসীম
আর কত হিংস্র হবে
জেদ, জিঘাংসায় ক্ষয়ে দেবে দেহের কূল-উপকূল !
আর কত প্রেমহীন গ্রীবায় হবে সূর্যাস্তের চুম্বন
কত নিষ্ঠুরতার চুমুক কাবাব বানাবে বলে -
চঞ্চুতে উচ্চারিত হবে কৃত্রিম প্রেমের গুল্ম !
তুমি কি জানো, ঘৃর্ণা আর ক্রোধ মৃত্তিকার মত উর্বর নয়।
কত সঞ্চিত বারুদ অপ্রয়োজনে
জ্বলবে বুকের আঙিনায় !
আমার বুকেও বিস্ফোরক মজুদ আছে
কিন্তু আমি তার নিয়ন্ত্রণ জানি
তুমি জানোনা বসতি বিরল এই মৃত্তিকায়
শুধু নিকটে রাখতে আমায়।
তুমি কি দেখনি, পেঁপে গাছের কষে সম্ভাবনার ঋতুস্রাব
সুর্যোদয়ের আগেই প্রকাশিত হতে চায় !
আমি হরিণের দ্যুতির মত আবছায়া এনেছি
বুকের গলুই ভরে
ওর নাম দিয়েছি ভালবাসার রেওয়ামিল ।
না, কোন মিথ্যের শপথ ধারণ করেনা এই কন্ঠ
এই জিহ্বা স্পর্শ করেনা জাগতিক স্তুতির বোঝা
দগ্গচিত্তে তবু কাগজি লেবুর মত জমিয়ে রাখি
সবুজ খোসায় অকৃত্রিম আত্মার সুঘ্রাণ।
আজও মাটির উষ্ণতা- আকাশের বাহু, প্রসারিত অস্বিস্তের মত
আমার পাঁজর জুড়ে থাকে সৌন্দর্যের চিরুনিময় দিন
ওর নাম দিয়েছি রৌদ্রের প্রতিভু।
তবু তুমি পারোনা শীতার্তের উষ্ণতা হতে
সঙ্গম শেষে লেপ-কাঁথার মত!
আর কত অপচয় হবে জীবন
যৌবণের কাগজে লেখা হবে বিষণ্ন পান্ডুলিপি ?
কত মিথ্যের চাঁদরে বুঁনবো ঝলমলে স্বপ্ন ?
আর কত, হিমায়িত মাছের মত
মৃত্যুপাতালে নিদ্রাচ্ছন্ন হবে পাঁজরে লেখা ভালবাসার অভিধান ?
তবু আমার আছে এই নদী -জল,
এই শুকনো শ্যাওলা
কার্তিকের আকাল..
আছে শীতদুপুরের ক্ষয়িত সূর্যতেজ।
দু:খের কালো উর্ণীতে সারারাত শিশির ঝরায় পুঞ্জিত ধূঁলিমেঘ !
লেখা: ১২ ডিসেম্বর-২০০৯
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।