সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন করতে চাই । ভাসতে চাই অনাবিল সুখে । মেয়ে দেখলেই শিস বাজানোর একটু আধটু অভ্যাস অনেকেরই আছে । তবে বিশ্বাস করেন আল্লাহর কসম আমার এই অভ্যাস নাই । কিন্ত আরিফ ভাইয়ের বিয়েতে আমার অভ্যাসের বিরুদ্ধে কাজ করে বসলাম ।
বিয়ে বাড়িতে খাবার দাবারের পর্ব শেষ করতেই আশরাফ বলল- ওই দেখ একটা মেয়ে কি সুন্দর ?
আমি বললাম- কোথায় ?
আশরাফ বলল- আরে গাধা সামনে দেখ !
আমি সামনে তাকিয়েই দেখি সত্যি একটা ফর্সা একটা মেয়ে আমাদের একটু সামনে দাড়িয়ে আছে । আর সাথে সাথে আমি একটা অভ্যাস বিরোধী কাজ করে ফেললাম । অনুচ্চস্বরে শিস দিয়ে উঠলাম । কে জানত আমাদের পাশেই পাত্রীর বাড়ির এলাকার বড়ভাইরা (আমরা পাত্র পক্ষের যারা বরযাত্রায় যে বাড়িতে গিয়েছি সে এলাকার) দাড়িয়ে আছে । বরযাত্রী হওয়ার পরেও তারা আমাদের ছেড়ে দিল না ।
আমাদের তারা ঘিরে ফেলল ।
এদের একজন ক্ষেপে বলল- ওই কে শিস দিয়েছিস রে ?
আমি বললাম- আমি । তবে কাউকে উদ্দেশ্য করে দেইনি । শিস বাজানো আমার অভ্যাস ।
সেই বড়ভাই গলা উচ্চস্বরে তুলে বলল- তোর অভ্যাস ছুটিয়ে দেব মেয়ে দেখলেই শিস মারতে মনে চায় তাই না? স্বীকার কর ।
মিথ্যা বলিস কেন ?
আমি বললাম- আচ্ছা ঠিক আছে স্বীকার করলাম ।
আরেক বড়ভাই এগিয়ে এসে বলল- মার লাগা ওদের । শিস দেওয়ার মজাটা বুঝিয়ে দে !
বুঝতে পারলাম আজ মনে হয় কপালে মার আছেই । অনেক ক্ষেপে আছে ওরা । তবে ভাগ্যে মনে হয় সেদিন মার ছিল না ।
পাত্রীর বড়ভাই সেসময় আমাদের গোলমালের স্থানে চলে এলেন । অনেক দূর পর্যন্ত বড়ভাইদের গলার আওয়াজ চলে গিয়েছিল । সেটা শুনেই হয়তো তিনি ছুটে এসেছেন ।
পাত্রীর বড়ভাই সব শুনে তাদের গন্ডগোল করতে নিষেধ করলেন । এবং আমাদের ছেড়ে দিতে বললেন ।
তিনি চান না এই গন্ডগোলটা বিয়ে বাড়িতে আরও বাড়ুক ।
বড়ভাই বাহিনীরা আমাদের শাসিয়ে দিয়ে চলে গেল । আজকের জন্য যে আমরা বেঁচে গেলাম এটা স্মরন করিয়ে দিয়ে গেল ।
আমি আর আশরাফ হাফ ছেড়ে বাঁচলাম । তবে প্রতিজ্ঞা করেছি এরকম কাজ আর কখনোই করব না ।
সবসময় তো আর ভাগ্যটা কাজ করবে না । আর সবসময় কেউ এসে বাচিঁয়েও দিবে না । সুতরাং এরকম কাজ থেকে দূরে থাকাই ভাল । তাতে নিজের পিঠটা বাঁচানো যাবে ।
বড়ভাই বাহিনী কোথায় নেই ? শিস কাহিনী ঘটলেই তারা এসে হামলে পড়েন ।
আর ইয়া ডিসুম ডিসুম বসিয়ে দেন। কখনো এই ইয়া ডিসুম ডিসুম খেয়ে ভিকটিমকে হাসপাতালেও যেতে হয় । বড়ভাইদের ক্রোধানলে পড়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে এমন বেশ কয়েকজনের কথা জানি ।
হয়তো ওই দিন আমাকেও ইয়া ডিসুম ডিসুম খেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে হত ।
তবে ভাগ্যটা সহায় ছিল বলেই বাঁচতে পেরেছি ।
আর কোনদিন ভুলেও এ কাজ করব না । বাসায় সহিসালামতে পৌছে ওয়াদা করলাম ।
......................................................................................
আপনি পড়তে পারেন এরকম কিছু লেখার লিংকস
......................................................................................
১.সুখের মূলমন্ত্র, সুখী হওয়ার মূলমন্ত্র
২.তোমরা যারা মেশিনকে খারাপ ভাবঃ মেশিন ভাল শব্দ-এর সপক্ষে কিছু যুক্তি
৩.জানুয়ারী মাস ২০১৩ ইং এ দেয়া আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো
তাছাড়া উপন্যাস রহস্যময় খুনী পড়ার জন্য আমন্ত্রন রইলো ।
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
........................................................................................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।