আমি প্রথমে জানাই আল্লার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। আজ রাত বাংলাদেশ সময়ে ২:০৫ মিনিটে আমি সহ ২৫ জন ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলাম। তখন হঠাৎ করে মিনি বাসে আগুন ধরার মত হয়ে গিয়েছিল।
রাত ১০:০০ টায় B shift ডিউটি শেষ করে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের ফাক্টারি থেকে বাসায় যাবার রাস্তাটা ইংরেজী V এর মত তাই দেখতে খুব কাছে লাগলেও যেতে সময় লাগে ৫ মিনিট।
রাস্তাটা আমাদের ফাক্টারির এরিয়ার ভিতরে। সাধারনত বাস আসার পথে আমাদের প্রথম স্টপেজ হলেও রাতে থামেনা। কারন ঐ সময় নামার লোক নাই। তাই বাস যাবার পথে আমাদের নির্ধারিত স্টপেজ এ্যাডমিন অফিসের সামনে থেকে উঠতে হয়। কিন্তু আজ রাতে ছিল গুরি গুরি বৃষ্টি তাই মিনি বাসটা যাবার পথেই থামে ।
তখন আমরা উঠি। উঠার পর থেকে ভিতরে কেমন যানি একটা পুরার গন্ধ আসে। যখন বাসটা সেন্ট্রাল ওয়ার্কসপে আসে তখন দেখছিলাম সবাই কেন যানি বাসে উঠতে চাইছিল না। পরে তারা বলে,তারা দেখেছিল সাইলেনছ্যার দিয়ে কেমন যানি ধুয়া বাহির হচ্ছিল। যাক সেখানেই মিনিবাসটি ফুল হয়ে গেলে বাসার দিকে ফিরছিলাম।
ফাক্টারির মেইন সিকোরিটি গেট পার হলে একটা গোল চক্কর আছে। বৃষ্টি হলে এখানে প্রচুর পানি জমা হয়। কোন ড্রেন নাই, তাই পাম্প বা রোড সুইপার গাড়ী দিয়ে তা সরানো হয়। যতটা আন্দাস করতে পারি। বাসটা যখন ড্রাইভার নিয়ে যায় এই পানির ভিতর দিয়ে স্বজোরে নিয়ে গিয়েছিল কারন আসার পথে দেখলাম যেই সাইডে পানি বেশী সেখান দিয়ে সে বেশ মজা করে অনেক স্পীডে গাড়ীটি চালানোর ফলে সামনের গ্লাসে পানিতে ভরে গিয়েছিল।
তারপর গাড়িটা যখন এই ইংরেজী V মত দুই রাস্তার মিলনের জায়গায় আসে , তখন গিয়ার তো পরিবর্তন করতেই হবে। তাই তা করে গাড়ী যখন আবার চলতে শুরু করে তখন একটু স্পীড তোলার পর হঠাৎ করে বিকট আওয়াজ করতে শুরু করে। প্রথমে সবাই অতটা বুঝতে পারে নাই, আস্তে আস্তে আওয়াজ বাড়তে থাকে বোম ফাটার মত। তখন হঠাৎ করেই গাড়ীর গতি কমে যায়। এ্যাকসিলেটর মনে হয় কাজও করছিলনা।
তারপর ইন্জিন দিয়ে তার চেয়ে সাইলেনছ্যার দিয়ে এমন ভাবে কালো ধুয়া বাহির হতে থাকে, যা মহূর্তের মধ্যে সম্পুর্ন মিনিবাসটা অদৃশ্য হয়ে যায়। এই অবস্থায় বাসটি থামার পর ড্রাইভার প্রথমে দরজা খুলে দৌড়ে দুরে দাঁড়ায়। আমি দরজার সাথে টু সিটে জানালার দিকে ছিলাম। তার পরও আমার নামতে দেরী হয়েছে। আর ফল্ডিং সিটে বসার কারনে সবার নামতে দেরী হয়েছে।
তখন কি অবস্থা কার আগে কে নামবে। কেহ কেহ জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে। শব্দে আর ধুয়ায় কেহ কোন কিছু বুঝে উঠতে পারছিলনা। যার যার জান বাচানোর চেষ্টা করছিল মানে বাস থেকে বাহির হবার চেষ্টা করছিল। শেষে সবাই নিরাপদে বাস থেকে বাহির হতে পার।
সাবই ভয় করছিল এবং যে পরিস্থিতি যা দাড়িয়েছিল গাড়ীটিতে আগুন ধরার বা বিস্ফোরন হবার সম্ভাবনা ছিল। আর যদি হতো । তবে কেহ বাঁচতো না তাই একটু দুরে গিয়ে সবাই অবস্থান নেয়। যাক আল্লার রহমতে আমি এবং আমারা কোন দুর্ঘটনা ছাড়াই নিরাপদ থাকার জন্য আল্লার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। আপনারা ও দোয়া করবেন।
সৌদি আরবে অতি বৃষ্টি জেদ্দা শহর
Click This Link
Click This Link
Click This Link
বাদল বর্ষায় শেষ হলো হজ্জ Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।