(রাজখোয়া হাটে হাড়ি ভাঙেন নাই। তিনি আদালত প্রাঙ্গনে ফাঁস করে দিয়েছেন তার গ্রেফাতরের বৃত্তান্ত। বাংলাদেশে তাকে গ্রেফতারের পরে ভারতের কাছে হ্যান্ডওভার করেছে। রাজখোয়ার হাড়ি ভাঙার পরে প্রাসঙ্গিক একটি পোস্টের রিপোস্ট করলাম। হায় ডিজিটাল বালখিল্যতা!!!)
''প্রথমআলোর অনলাইন সংস্করণে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়ার আত্নসমর্পনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাটি সম্পূর্ণ কপি পেস্ট করলাম এবং বোকা জনগনের অংশ হিসেবে নিজের কৌতূহল এবং মতামত প্রকাশ করলাম।
প্রথম আলো প্রকাশিত সংবাদ:
''ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম) চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া আজ শুক্রবার সপরিবারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে মেঘালয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি সীমান্তে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একজন মুখপাত্র রবি গান্ধী এ কথা জানান।
নয়াদিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, রাজখোয়া শিগগির ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেবেন।
ভারত ও আসাম রাজ্য সরকার সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানা গেছে, রাজখোয়ার সঙ্গে আরও নয়জন আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন রাজখোয়ার স্ত্রী ও দুই সন্তান, তাঁর দেহরক্ষী এবং সংগঠনের সামরিক শাখার উপপ্রধান রাজু বড়ুয়া।
রাজখোয়া দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ থেকে কাজ চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিএসএফের মুখপাত্র রবি গান্ধী বলেন, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা সীমান্তে বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন।
পরে বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীন আসামের জন্য উলফার গত দুই দশকের সংগ্রামে প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, উলফা চেয়ারম্যান বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সত্যতা নাকচ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। তিনি আজ শুক্রবার রাজধানীতে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উত্সবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে উলফা চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারের যে খবর প্রচার করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের কোনো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি।
'
(লিংক http://www.prothom-alo.com/detail/news/23134)
------------------
বোকা জনগনের একজন হিসেবে আমার কৌতূহল এবং মতামত:
-উলফার চেয়ারম্যান হাওয়ার খাওয়ার জন্য দেহরক্ষী নিয়ে সীমান্তে ঘুরছিলেন!!
-ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে আত্নসমর্পন করতে বলার পর উনি সাথে সাথে আত্নসমর্পন করলেন!!
-সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে আত্নসমর্পন করেছেন কারন তিনি জানতেন না যে পুলিশের কাছেও আত্নসমর্পন করা যায়!!
-তিনি আগে আত্নসমর্পন করলেন তারপর সরকারের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দিবেন!! অর্থাৎ উলফার চেয়ারম্যান আগে তরকারী রান্না করবেন তারপর চুলা ধরাবেন!!
-উলফার চেয়ারম্যানের গ্রেফতারের ঘটনা আগেই সকল মিডিয়া প্রচার করে দিলো!! তারা হাওয়া থেকে খবর পেয়েছিলো!! কিন্তু দুই দেশের সরকার খবর জানলো আরো পরে!!!
-ভারতীয় প্রচার মাধ্যমের সাথে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সুসম্পর্ক রয়েছে!! তাই উলফা চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের কৃতিত্ব ভারতীয় প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশের পুলিশকে দিয়েছে। কারণ তারা নিজ দেশের বিএসএফকে পছন্দ করেনা!!!
-বাংলাদশের স্বরাস্ট্র মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন আজ বলেছেন যে উলফা চেয়ারম্যানের গ্রেফতার হওয়া এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি সঠিক নয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্রের ব্ক্তব্য প্রদানের পরে তিনি বুঝতে পারলেন যে বিষয়টি সঠিক নয়!!! এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সাথে সাথে মন্তব্য করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন নাই!!
উল্লেখ্য স্বরাস্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের পদত্যাগের কয়েকমাস পরেও জানতেন না যে সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছেন!!! অর্থাৎ নিজের মন্ত্রণালয়ের নিজের ডেপুটির খবরই যিনি জানেন সমগ্র দেশবাসী জানবার পরে তার কাছ থেকে এর বেশী আর কি আশা করা যায়!! সম্প্রতি তিনি বলেছেন কোন কোন জঙ্গী সংগঠনের উপর দৃষ্টি রাখছেন তা বললে সকলে জেনে যাবে। অথচ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কখন কি করবে, কোথায় কোন ধরনের চেকিং হবে তা জানাতে কখনো কার্পন্য করেন না। কাদের সুবিধার জন্য তিনি এগুলো করেন!! যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্রসফায়ার নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিচ্ছেন তখন তিনি মন্তব্য করে বসলেন যে এই সরকারের আমলে কোন ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেনি (এই একজীবনে এমন চরম সত্য কথা জনগন শুনে নাই)।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী সভায় এমন বালখিল্য স্বরাস্ট্রমন্ত্রী শোভা পায়না। আপনি প্রজ্ঞাবান এবং বিষয়টি আপনি আরো ভালো ভাবে অনুধাবন করেন নিশ্চয়। আপনি অন্ধ আনুগত্যের তোফা দিতে গিয়ে আবার ভুল করে বসবেনা। অন্ধ আনুগত্যের তোফা দিতে গিয়ে আবদুল জলিলকে আপনি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আবদুল জলিল নামক দাউদের ক্ষত এখনো শুকায়নি।
অথচ আবদুল জলিলের নতুন নতুন সংস্করন দেখা যাচ্ছে। দয়া করে নতুন কোন আবদুল জলিল তৈরী করবেন না।
ডিজিটাল মন্ত্রীসভা হোক বালখিল্যতা মুক্ত। ''
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।