যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
পটুয়াখালী থেকে লঞ্চে ফিরছি। পুরা দেড় দিনের সফর। সংগের পেপার পড়া শেষ। শেয়ারসূচক থেকে শুরু করে এডিটিং প্যানেলের নাম পর্যন্ত পড়ে ফেলেছি। তারপর সাথে থাকা কয়েকটা ঠোঙার সব ছাপার অক্ষরও মুখস্থ হয়ে গেলো।
এস ওয়াজেদ আলীর 'রাজা' নামে একটা গল্পও মোটামুটি পড়া হয়ে গেলো। স্কুলের পাঠ্য হবে, সেই পাঠ্যের নোটবই এর পৃষ্ঠা দিয়ে মুড়ির ঠোঙা হয়েছে। তারপরে কেবিনের দেয়ালের সাহিত্য পড়ে জানলাম রোজিকে ভালোবাসে সালাম। তার বিশেষ অঙ্গে সে কি কি করতে চায় তার বিস্তারিত বিবরণ। শরীরের কোথাও কোনো অক্ষরটক্ষর আছে কিনা তাও খুঁজে দেখলাম।
এবং অদ্ভুত ভাবে পেয়ে গেলাম একটা টি-শার্ট - যার সারাঅঙ্গে কেবল রবীন্দ্র সংগীত। এবং তাও আবার বৈশাখ বরণের। তবে ভালো করে পড়ে দেখলাম মাত্র একটা গানের একটা লাইন - এসো হে বৈশাখ! তারপরেও ঐ একটা লাইনই ত্রিশ চল্লিশ বার পড়ে ফেললাম গেঞ্জি খুঁজে খুঁজে।
বাইরে তখন মুন্সীগঞ্জ দেখা যাচ্ছে। দশটার মত বাজে।
ট্রলারে চড়ে ফেরিওয়ালারা এসে লঞ্চে উঠলো। পেটের মধ্যে চোচো - পরোটা আর ভাজিও বিক্রি হচ্ছে। কিনলাম। এবং পরোটা যে কাগজটাতে দিলো সেটা একটা পত্রিকার অংশ দেখে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে আরো একটু বেশী কাগজ চেয়ে নিলাম। পরোটা খেয়ে তারপর সেটা পড়তে শুরু করলাম।
১ডিসেম্বর ছিলো বিশ্ব এইডস দিবস। এটা সেই দিবসের পত্রিকা। আমার হাতে যে অংশ সেখানে একটা নিবন্ধ - লেখকের নাম দেখা যাচ্ছে না। তবে যতটুকু পড়তে পারলাম তাতেই কম্মোকাবার। বাংলাদেশ বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে।
হাততালি দেবার কিছু নাই। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের হোটেলবেইজড যৌনকর্মীদের সাপ্তাহিক শয্যাসংগীর পরিমাণ সর্বোচ্চ! এবং সংখ্যাটা শুনলে মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন। চৌচল্লিশ জন!!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।