... লেখা: তাসনিয়া তাহ্সিন তিষা
আমি যুদ্ধ দেখিনি। আমি ধ্বংস দেখিনি। আমি দেখিনি পরাধীনতার খাঁচা। আমি দেখিনি ৭ কোটি বাঙ্গালীর নিপীড়িত মুখ। দেখিনি ঝলসে ওঠা প্রত্যয়।
দেখিনি ৩০ লক্ষ বোনের অপমানিত মন, মায়ের বিলাপ, বাবার পাথর বুক। আমি দেখিনি কি এক বিশাল ভালোবাসার টানে আর সব ভালোসাকে তুচ্ছ করে ছুটে এসেছিল আমার ভাই-বোনেরা। তাই হয়ত স্বাধীনতার স্বাদটাও ঠিক সেভাবে আর পাওয়া হয়না। তারপরও তাঁদের প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধায় দেশের জন্য ভালোবাসায় আমার বা আমাদের হৃদয় উদ্বেল হয়ে ওঠে। আজ থেকে ৪২ বছর আগের সেই বিভিষীকাময় সময় আমরা পেরিয়ে এসেছি।
শুধু নদীমাতৃক এই বাংলার বুকে আর একটি নদী আমাদের খনন করতে হয়েছে। বাবার বুকে, মায়ের আঁচলে, প্রিয়জনদেও হৃদয় খুঁড়ে বয়ে চলা সে নদীর রং টকটকে লাল।
মনে ক্ষোভ ছিল কেন জন্মাইনি ভাষা আন্দোলনের আগে। কেন ভাষার মিছিলে আমার শাদা শাড়ি রক্তাক্ত হলো না। আফসোস ছিল কেন ছিলাম না ৭১ এ।
আমর হতের চুড়ির বদলে শোভা পায়নি অস্ত্র। এখন আমার গর্ব হয়। কেননা আমি দেখেছি ঝলসে ওঠা শপথ। আমি দেখেছি তারুন্যের জোয়ার। দেশের প্রতি ভালবাসায় আবারো জনতার ঢল দেখেছি শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে।
শহীদদেও প্রতি শ্রদ্ধায় রাজাকারের প্রতি ঘৃনায় চকচকে চোখের অগ্নিদৃষ্টি আমি দেখেছি। হাজারো কণ্ঠে গলা মেলাতে পেরেছি। হয়ত এ জাগরণ আরও আগেই প্রয়োজন ছিল। দেরিতে হোক তবুও শুরু হলে। এ শুধু একটি রায়ের প্রতিবাদ নয়।
মনে করিয়ে দেয়া আমরা ঘুমাইনি আমরা এখনও জেগে রয়েছি।
য়েমন নির্ঘূম রাত কেটেছে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে, যেমন নির্ঘূম রাত কেটেছে মুক্তিযুদ্ধের দিন গুলোতে। আবার তেমনি করেই আমার ছিনিয়ে আনব আমাদের দাবি। দেশ মায়ের অপমান আর হতে দেব না।
শাহবাগ পজন্ম চত্বর থেকে যে পরিবর্তনের সূচনা হলো সে পরিবর্তনে আবার সাজবে গোটা বাংলাদেশ।
সেই যে শহীদের রক্তে বয়ে চলা নদী সেটি যুগ যুগ ধরে বয়ে যাবে সময়ের সাথে সাথে। তার ধারায় আমরা বার বার øাত হয়েছি হব আনন্তকাল।
জয় হোক তারুণ্যের, জয় হোক বাংলার।
সহকারি শিক্ষক
চাকুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
সাভার, ঢাকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।