নিজের জাতি আর মানুষের কল্যাণেই শান্তি পাই।
দেশে বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে। নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। সবই ঠিক আছে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে মানুষ।
মানুষ বেঁচে থাকলে বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। বেঁচে থাকার
জন্য পরিবেশ অপরিহার্য। পরিবেশ ধ্বংস হলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষের জীবন বিপন্ন করে তাপবিদ্যুৎ প্রয়োজন কার জন্য? পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বিপদ
ডেকে আনবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন অবস্থিত ।
এ সুন্দরবন নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর গর্ব একথা সবার জানা।
বাংলাদেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিপর্যয় রোধে সুন্দরবন বিরাট ভূমিকা পালন করছে । সুন্দরবন বেঁচে থাকলে
পরিবেশ বাঁচবে আর পরিবেশ রক্ষা পেলে বাংলাদেশ টিকে থাকবে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সুন্দরবন এলাকা বেছে নেয়া হল ভারত সরকারের এবং জ্বালানি উপদেষ্টার পরামর্শে । পরিবেশমন্ত্রী জনমত উপেক্ষা করে পরিবেশ ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে।
সুন্দরবন ধ্বংস হবে। ৫০০ থেকে ৭০০ বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ ভারতের সুন্দরবনের অংশে আশ্রয় নেবে। হাজার হাজার হরিণ,
বনমোরগ, মহিষ, লাখ লাখ পাখি জীববৈচিত্র সবকিছু ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবনে আশ্রয় নেবে। গাছ মরে যাবে। বিরানভূমিতে পরিণত হবে সুন্দরবন।
পশুপাখি, শামুক, কাছিম, কাঁকড়া ধ্বংস হয়ে যাবে। তাপবিদ্যুতের তেজস্কৃয়তায় পানিতে মাছ মরে যাবে। রায়মঙ্গল নদী পাড়ি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সুন্দরবনের অংশে সব প্রাণী পালিয়ে যাবে। জলবায়ুর বিপর্যয় ঘটবে। জলোচ্ছাস, টর্নেডো, সুনামি, ঘূণর্ঝিড় প্রভৃতি কারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে।
ঘরবাড়ি, মানুষ, সহায়-সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রতিরোধ করার উপায় থাকবে না।
সুন্দরবনকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র কিছু চতুর স্বার্থপর ব্যক্তির। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার মতো জায়গার দেশে অভাব নেই। উত্তরবঙ্গে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার মতো যথেষ্ট জায়গা রয়েছে।
বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য রামপাল তাপবিদ্যুৎ থেকে সুন্দরবনের গুরূত্ব অনেক বেশি। সুন্দরবনের
সন্নিকটে কোনোক্রমেই এ প্রকল্প স্থাপন করা যাবে না। সরকার সিদ্ধান্ত হতে সরে আসবে এ আহ্বান করছি। অন্যথায় জনগণকেই প্রতিরোধের জন্য এগিয়ে আসতে হবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।