পবিত্র ঈদুল আজহা-এর সময় হালাল পশু কোরবানী করা মুসলমান হিসেবে আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব। এই ধর্মীয় দায়িত্বটি আমরা পালন করি বেশ আড়ম¡রভাবে। কি›ত্ত আমরা অধিকাংশ মানুষই ভূলে যাই যে কোরবানীর পর আমাদের কিছু সামাজিক দায়িত ¡রয়েছে।
ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাড়িতে পর্যাপ— জায়গার অভাবে মানুষ বাড়ির সামনের রা¯তাতেই কোরবানী করে থাকে। ঈদের দিন আমরা কোরবানীর পশুটি জবাই করার পরই ব্য¯ত হয়ে যাই কত তাড়াতাড়ি মাংস কাটাকাটি শেষ করবো আর কত তাড়াতাড়ি এই মাংস হাড়িতে উঠবে আমাদের ভূড়ি ভোষণের জন্য।
কি›ত্ত কোরবানী দেয়ার জন্য আমরা যে পাবলিক প্লেসটি ব্যবহার করি তা ঠিক মত পরি®কার-পরিচছ›ন করার দায়িত্ব কি›ত্ত বর্তায় আমাদেরই উপরে। অথচ আমরা খুব কম সংখ্যক মানুষই এই কাজটি করি দায়িত্ব নিয়ে। ঈদের দিন আমি ঢাকা শহরের অনেকটা পথ ঘুরেছি। অধিকাংশ জায়গায় আমি একই দৃশ্য দেখেছি। কোরবানী করার জায়গাগুলিতে পড়ে আছে রত্ত“, হাড়ের গুড়া, ব্যবহহৃত চাটাই, গোবর আর উচিছষ্ট হাড়-গোড়।
কোরবানী করার দায়িত্বটুক ুপালন করতে আমরা যতটুক ুউৎসাহি কোরবানীর পর ঐসব জায়গা পরি®কার করার ব্যাপারে আমরা ততটাই উদাসীন। এমনকি কিছ ুবাড়ির পার্কিং প্লেসও দেখেছি অপরি®কার।
অথচ একটু সচেতন হলেই কি›ত্ত আমরা আমাদের চারিদিকের পরিবেশ রাখতে পারি স¡াস্থকর। এই সব জায়গা গুলি পরি®কার করতে কি আমাদের খুব বেশী পয়সা খরচ করতে হয়। আমরা কোরবানীর পশু কেনার জন্য প্রতিযাগিতায় নেমে পরি কে কত বেশী দামি পশু কিনতে পারি।
২ হাজার টাকা থেকে শুর ুকরে ৬ লাখ টাকা পর্য›ত কোরবানীর পশু পেছনে ব্যয় করি। অথচ ৮-১০ বালতি পানি, ৫০ টাকার ব্লচিং পাউডার ও একটু সময় খরচ করলে আমরা পেতে পারি এই অ¯স¡াস্থকর পরিবেশ থেকে পরিত্রাণ। আজ থেকে হয়ত পরবর্তী কয়েকদিন ঢাকা শহরে চলাফেরা করতে হবে নাকে রুমালা চাপা দিয়ে।
কেন পারি না আমরা আরো একটু সচেতন হতে? কেন আমরা সচেষ্ট হই না সামাজিক দায়িত ¡পালনে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।