উপদ্রুত সময়
-এম জসীম
যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে
ধ্বংসের প্লাবন .....
পুঞ্জিভূত সব আলো নিভে যেতে পারে
হৃদকোমলে জমানো ক্ষোভের বিস্ফোরণে
তখন স্বয়ং ঈশ্বরও কেঁপে উঠবেন
ধ্বংসের বিভীষিকায়।
এখনতো প্রচন্ড নীল আকাশটাকে
ঢেকে যেতে দেখি ধ্বংসের কালো কফিনে
এই ঘুটঘুটে তিমির ভারাক্রান্ত করে ভূতল আর
আমার চলার বৈতরনী...
তবু আঁকাবাঁকা পথে বয়ে চলে এখনও জলাশয়
এমনকি বঙ্গোপসাগরের উত্তাল উপকূল
বুভূু জেলের আত্মার হাহাকার মিশে
হাঙরের নি:শ্বাসে।
এখনও আলোকিত তারার মত
বলেশ্বরের সঙ্গমে প্রতি সন্ধ্যায় জ্বলে ওঠে
ডিঙি নৌকার কূপি...
জ্বলে তির..তির..চলে তির..তির..বিষখালী-বলেশ্বর
আর প্রমত্তা পায়রা
শুধু সমতার নিসর্গ ঘুমিয়ে থাকে দানবের ভয়ে।
এই উপদ্রুত সময়ের ভাজে লেখা থাকুক
উজ্জ্বল দিনের আকাংখা-
উদোম সূর্যের গায়ে লেগে থাকুক বেদনার ঘ্রাণ
সমুদ্র সফেনে থাকুক ধ্বংসের উৎসব
আর মিথ্যে স্তুতির বয়ান পড়ে থাকুক
জংধরা আভিজাত্যের খোলসে
তবু মৃত্তিকার জরায়ূতে সঙ্গমের প্লাবন ছুঁয়ে
আবার নতুন জন্মের সুবাস ছড়াবে পৃথিবী
একদিন ....
যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে
ধ্বংসের প্লাবন....
মুর্মূষু বাতাসে আজ শুধু ভাঙনের আহবান
শুধু ধ্বংস, মৃত্যু আর ক্ষয়ের ডঙ্কা বাজে অবিরাম .....
এই দেখ, কষ্টবন্দী মানুষের অমূলক স্বপ্নাবলী হাতে নিয়ে
আমি কৃষ্ণপক্ষ পৃথিবীর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি
বুকের তিমির ভেঙে সুপ্রভাতের অন্বেষায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।