আমারও লিখার অধিকার আছে......... আমি বিভ্রান্ত নই। লাখো তরুনের সাথে আমিও যুদ্ধ করছি খাঁমচে ধরা শকুনের হাত থেকে পতাকাটাকে তার যথার্থ মর্যাদা দিতে। গর্জন করছি ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মার শান্তিতে। মুক্ত কন্ঠে আওয়াজ তুলছি লাখো মা-বোনের ইজ্জতের বদলা নিতে। দাবি একটাই, রাজাকারের ফাঁসি, রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ।
যৌবনের জন্মান্ধ প্রেরনায় সব দ্বিধাদ্বন্দ, ভয়, নিশেধ হাওয়ায় উড়িয়ে ঘুর্ণির মত ছুটছি ইপ্সিত স্বপ্নের পেছনে, গন্তব্য মিশেছে প্রজন্ম চত্বরে।
আগেই বলেছি, আমি বিভ্রান্ত নই। তবে শুক্রবার থেকে আমি কিছুটা আশাহত, কিঞ্চিত বিস্মিত। শুরু থেকেই গণজাগরণ মঞ্চ ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তি মুক্ত, এটাই জানতাম। তবে কেন শুক্রবারের মহাসমাবেশ থেকে ঘোষনা করা হল ছাত্র মৈত্রী, বাসদ, জাসদ এমনকি বর্তমান সরকার আওয়ামিলীগের কর্মীদের নাম? মাইকে বক্তব্য রাখলো এসব নেতারা?
অবাক হয়েছি আসিফ নজরুলের মত ব্যক্তিকে কটাক্ষ করতে দেখে, যে কিনা ৯১ সালের পর ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা।
শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালতেও তিনি ছিলেন আইনজীবির ভুমিকায়। আর সেই তাকে নিয়েও…………।
হতভম্ব হয়েছি ৬৯ এর গণ অভ্যূত্থানের দরাজ নেতা তোফায়েল আহমেদের লাঞ্চিত হতে দেখে। যে মঞ্চে ঠাই পায় ছাত্রলীগের নেতারা, সেই মঞ্চেই তাকে বোতল নিক্ষেপ করা হয়।
তবে আমি আশাহত হইনি, ভুলেও কল্পনা করিনা রাজাকারযুক্ত বাংলাদেশ।
কখনো আর রাজাকারের গাড়িতে দেখতে চাইনা লাল সবুজের পতাকা। দেখতে চাইনা আর কোন রাজাকার বিচারের রায়ে বাংলাকে বিজয় সূচক চিহ্ন দেখাচ্ছে।
“ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।