আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাচীর ভেঙেছে, দূরত্ব কমেনি

সাংবাদিক

প্রাচীর ভেঙেছে, দূরত্ব কমেনি শান্তনু দে কুড়ি বছর আগে, বার্লিনের প্রাচীর ভাঙাকে ‘সমাজতন্ত্রের পতন’ বলে চিহ্নিত করেছিল পশ্চিমী দুনিয়া। বলেছিল, ‘মুক্ত বাজারের জয়’, ‘পুঁজিবাদের চূড়ান্ত উত্থান’। কুড়ি বছর পর, পুঁজিবাদ এখন ১৯২৯এর পর সবচেয়ে গুরুতর সঙ্কটে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল স্যামুয়েলসনের ভাষায়, ‘এ আসলে পুঁজিবাদের বিপর্যয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন যেমন ছিল কমিউনিজমের ক্ষেত্রে। ’ সাবেক পূর্ব জার্মানির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোট দিয়েছেন বামপন্থীদের।

সোসাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিক্ষুব্ধ অংশ এবং পূর্ব জার্মানির প্রাক্তণ কমিউনিস্টদের নিয়ে গঠিত লেফ্ট পার্টির প্রার্থীদের। এই সেপ্টেম্বরের শেষে জার্মানির সংসদে নিম্নকক্ষ বুন্দেসটাগের নির্বাচনে লেফ্ট পার্টি (দিয়ে লিঙ্কে)-র আসন সংখ্যা ২২থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৬। ফিরে আসছে পুরনো প্রসঙ্গ — পরিকল্পিত অর্থনীতিতে কী কী ইতিবাচক ছিল। সমাজতন্ত্রে আস্থা হারিয়ে তাঁরা পেয়েছেন পুঁজিবাদের স্বাদ। এবং দুইয়ের অভিজ্ঞতার উপসংহার হলো, সমাজতন্ত্র — পুঁজিবাদের চেয়ে উন্নত।

বার্লিনের ভাঙা প্রাচীরের ওপর দাঁড়িয়ে ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা শুনিয়েছিলেন, ইতিহাসের অবসান হয়েছে। ধনতন্ত্রই ‘সার-সত্য’। এর কোনও বিকল্প নেই। সমাজতন্ত্রের বিপর্যয় মানেই দ্বন্দ্বের অবসান। সঙ্কটের স্থায়ী অবসান।

আ-বিশ্ব পুঁজিবাদ মানেই অবাধ বিশ্ব গণতন্ত্র। অবাধ মানবাধিকার। ইতিহাস মানে দ্বন্দ্বের ইতিহাস। সঙ্ঘাতের ইতিহাস। একমেরু বিশ্বে সহজলোভ্য হবে মহাশান্তি।

ইতিহাস তাই অবসিত। কে জানতো এত দ্রুত খসে পড়তে শুরু করবে ‘অ-বিকল্প’ বলে ঘোষিত বিশ্বায়িত পুঁজিবাদের পলেস্তারা। দু’দশকও যায়নি। ইতিহাসের অবসান নয়, ইতিহাসের চাকা ঘুরছে বহুবার। দ্বন্দ্বের অবসান নয়, বরং দ্বন্দ্বের তীব্রতা দেখেছে এই গ্রহ।

চাক্ষুষ করেছে শ্রমের সঙ্গে পুঁজির দ্বন্দ্বের তীব্রতা। বিপর্যয় আজ বিশ্ব পুঁজিবাদের দুর্ভেদ্য, দুর্জয় প্রাচীর — ওয়াল স্ট্রিটে। এবং এই বিপর্যয় বাইরের কোনও আগ্রাসনের কারণে নয়। ‘অজেয়, অনড়’ এই প্রাচীরের পতনের কারণ আসলে পুঁজিবাদের জঠরেই রয়েছে সঙ্কটের বীজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে ১০২কোটিতে — এই গ্রহের প্রতি ছ’জনের একজন এখন হয় আধপেটা খেয়ে অথবা অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হন।

দুনিয়াজুড়ে বেকারী। অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের হিসেব, মন্দার এই সময়ে ৫কোটি ৭০লক্ষ মানুষ করে বেকারীর খাতায় নাম লিখিয়েছেন। মার্কিন মুলুকে বেকারীর হার পৌঁছেছে দুই অঙ্কে — ১০.২শতাংশ। বেসরকারী হিসেবে ২০শতাংশের ওপরে। দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.২শতাংশ, সংখ্যায় চার কোটি।

কে বলেছে ইতিহাসের অবসান হয়েছে? কুড়ি বছর আগের সেদিন ইতিহাসের অবসান হয়নি, বরং ইতিহাস রচিত হয়েছে। পূর্ব বার্লিনের মানুষদের সীমান্ত অতিক্রমের নিয়মবিধি কখন থেকে কার্যকর হবে? সেদিন গোটা দুনিয়াতে একযোগে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে পেশাদার সাংবাদিকের সবচেয়ে জরুরী প্রশ্নের তুরন্ত জবাব দিয়েছিলেন সোসালিস্ট ইউনিটি পার্টি অব জার্মানির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র গুন্টার স্ক্যাবেস্কি, ‘আমি যতদূর জানি....এক্ষুনি। ’ যা মানুষের প্রত্যাশার পারদকে মুহূর্তে এতটাই চড়িয়ে দেয় যে ওই রাতেই বার্লিনের দেওয়ালের সামনে জড়ো হন হাজারো মানুষ। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পূর্ব জার্মানদের স্রোতে চুরমার হয়ে যায় দেওয়াল। এবং অচিরেই তথাকথিত ঠান্ডা যুদ্ধের ‘সবচেয়ে লজ্জাজনক প্রতীকের’ অবসান ঘটে।

এরপর রূদ্ধশ্বাস গতিতে ঘটে যেতে থাকে ধারাবাহিক ঘটনাবলী। জার্মানিতে ফের এককীকরণ, ইউরোপে কমিউনিজমের অবসান, যুগোস্লাভিয়ার রক্তাক্ত পতন এবং শেষে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয়। যা মহাদেশের চেহারাটাকেই পালটে দেয়। পালটে দেয় মহাদেশের ভূগোল। বার্লিনে একদিকে প্রাচীর ভেঙেছে, অন্যদিকে গত কুড়ি বছরে বিশ্বের সর্বত্র প্রাচীর বেড়েছে।

গোচরে-অগোচরে। অধিকৃত প্যালেস্তাইনে প্রাচীর তুলেছে ইজরায়েল। মেকিস্কোর সীমান্ত বরাবর প্রাচীর তুলেছে আমেরিকা। প্রাচীর এখন মরোক্কো মেলিল্লার মধ্যে। মরোক্কো সাহরাউই মানুষের মধ্যে।

সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যে। গ্রিক সাইপ্রাস ও তুর্কি সাইপ্রাসের মধ্যে। ফুকুয়ামা আজ কোথায়? আজ ওই ফুকুয়ামাকেই নিউজউইক পত্রিকায় লিখতে হয়েছে, ‘দ্য ফল অব আমেরিকা, ইন্‌ক্‌!’ আমেরিকার কোম্পানি জগতের পতন। এবং শুধু ‘পতন’ বলেই পূর্ণচ্ছেদ টানতে পারেননি, তাঁকে লিখতে হয়েছে, ‘মার্কিন অর্থনীতি বেলাইন হয়েছে, এবং তার সঙ্গেই বাকি দুনিয়াটাকেও লাইন থেকে টেনে নামিয়ে দিয়েছে। ’ সেদিনই প্রথম সোভিয়েত ইউনিয়নের সামনে নতুন বিশেষণ ‘সাবেক’ বসানোর শুরু।

পশ্চিমের ভাড়াটে তাত্ত্বিকরা তৃপ্তমুখে বলছেন, ‘শেষ হয়েছে ঠান্ডা যুদ্ধ, শেষ হয়েছে দুই বৃহৎ শক্তিকে কেন্দ্র করে রেষারেষির উত্তেজনার পর্ব। এখন শান্তি, শুধুই শান্তি। ’ সেদিন রেগান, থ্যাচাররা শুনিয়েছিলেন, বিকল্প নেই। মার্কিন সেনেটের সদস্য শ্রীমতী বারবারা বক্সার দাবি করেছিলেন, ‘আজ এক নতুন দিন। কমিউনিজ মৃত।

’ সেদিন মিখাইল গরবাচ্যভের মুখে গ্লাসনস্ত্‌, পেরেস্ত্রৈকা। গ্লাসনস্ত মানে মুক্তচিন্তা। পেরেস্ত্রৈকা হলো পুননির্মাণ। আর আজ সেই গরবাচ্যভকেই নিজের কাজের পক্ষে সাফাই গেয়েও ব্রিটিশ গার্ডিয়ান পত্রিকায় বলতে হয়েছে, ‘বার্লিনের প্রাচীরকে ভাঙতেই হতো, তবে আজকের বিশ্ব মোটেই সুন্দরতর নয়। ’ ‘অতি উদার পুঁজিবাদের প্রয়োজন তার নিজের পেরেস্ত্রৈকা।

’ বলেছেন গরবাচ্যভ। কেন? এখনও ‘ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য হয় থেকে গিয়েছে, নতুবা বেড়েছে। শুধু উত্তর এবং উন্নয়নশীল দক্ষিণের মধ্যে নয়, উন্নত দেশগুলির নিজেদের মধ্যেও। ’ সেদিন পশ্চিম যে কথা দিয়েছিল, তা তারা রাখেনি। তারা গরবাচ্যভকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পূর্ব জার্মানিতে বিদায়ী রুশ সেনাদের ঘাঁটিতে ন্যাটো আর নিজেকে সম্প্রসারন করবে না।

যদিও সেই প্রতিশ্রুতি ছিল মৌখিকভাবে। তবু তারা কথা রাখেনি। সোভিয়েত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। ন্যাটোর সম্প্রসারন নিয়ে প্রতিশ্রুতিও ভেঙে চুরমার হয়েছে। আজ সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই।

কবেই গুটিয়ে গিয়েছে ওয়ারশ চুক্তি। নেই কোনও কমিউনিস্ট ব্লকও। ঠান্ডা যুদ্ধের অবসানের দু’দশক। তবু প্রতি চব্বিশ ঘন্টায় ন্যাটো এগিয়ে চলেছে মস্কোর দিকে। রাশিয়া সীমান্তে বাল্টিকের সমস্ত দেশকে এরমধ্যেই তারা এনে ফেলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোতে।

বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরির সঙ্গে পোল্যান্ড — যারা একসময় ছিল সোভিয়েত ব্লকে, এখন তারাও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো’র সদস্য। ন্যাটো আজ বেড়ে দ্বিগুন। সদস্য সংখ্যা বারো থেকে বেড়ে ২৬। ইউরোপ, বাল্টিক ছাড়িয়ে এখন তার বিস্তারের অপেক্ষায় এশিয়া। আজ সোভিয়েত নেই।

তাহলে শত্রু কে ? আসলে আমেরিকার শত্রু খোঁজার অভিযান জারি রয়েছে এখনও। বুশের মন্তব্যেই তা স্পষ্ট, ‘হয় আপনি আমাদের সঙ্গে, নতুবা আমাদের বিরুদ্ধে’। কুড়ি বছর আগের নভেম্বরে পশ্চিম ও পূর্ব জার্মানির মধ্যে বিভাজন রেখার ওই দেওয়াল ভেঙে ফেলার পর সাবেক গণতান্ত্রিক জার্মানি মিশে যায় ফেডারেল জার্মানিতে। সেদিন প্রতারিত হয়েছিলেন পূর্ব জার্মানির মানুষ। সেদিন তাঁদের বলা হয়নি — বাজার অর্থনীতির অনুপ্রবেশ মানে গণবেকারী, বেপরোয়া ক্লোজার এবং আক্ষরিক অর্থেই বিরাট শিল্পাঞ্চলে খতম অভিযান।

১৪হাজার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হয় বিক্রি হয়েছিল, নয়তো গুটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবং ক্রেতাদের অধিকাংশই ছিলেন পূর্ব জার্মানির বাইরের মানুষ। সেদিন তাঁদের বলা হয়নি — বাজার অর্থনীতির অনুপ্রবেশ মানে আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তায় একতরফা আক্রমণ, নিজের দেশেই ‘দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক’ হিসেবে থাকা। কুড়ি বছর বাদে, আজ পূবের বহু মানুষের কাছে দুই জার্মানির একীকরণ আসলে পূবের ওপর চেপে বসা পশ্চিমের ‘দখলদারি’। সাম্প্রতিক একটি জনমত সমীক্ষার পূর্বপ্রান্তের ৪২শতাংশ অধিবাসীই জানিয়েছেন, তাঁরা বেঁচে আছেন ‘দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের’ মতো।

৬৩শতাংশ জানিয়েছেন, গত দু’দশকে বেড়েছে দুই প্রান্তের দূরত্ব। পশ্চিমের তুলনায় পূবে বেকারীর হার অনেক বেশি। অনেক কম মজুরি। ভীষণ দুর্বল সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কুড়ি বছর আগে পূর্ব জার্মানি ছিল পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ।

‌আজ, কুড়ি বছর পর তার জীবনমান পশ্চিমের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। গণতান্ত্রিক জার্মানিতে ছিল না বেকারী। কিন্তু একীকরণের প্রথম তিন বছরেই (১৯৮৯-’৯২) কর্মসংস্থান হ্রাস পায় ৩৩লক্ষ। কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের ৭১শতাংশ হয় কাজ হারান, অথবা নতুন কাজে যোগ দিতে বাধ্য হন। আর এখন, জার্মানিতে সামগ্রিকভাবে বেকারীর হার ৮শতাংশের মতো।

অথচ, পূর্ব জার্মানিতে তা ১২.৩শতাংশ। বেসরকারী হিসেবে অনেক বেশি, ২০শতাংশেরও ওপরে। আর যুবকদের মধ্যে ৫০শতাংশ। প্রতি ঘন্টায় পশ্চিমে শ্রমিকরা যেখানে মজুরি পান ১৭.২০ইউরো, সেখানে পূবে মাত্র ১৩.৫০ইউরো। পূর্ব জার্মানির মানুষ হারান তাদের তাঁদের আশা, সোনালী ভবিষ্যৎ।

জন্মহারের তাক লাগানো অধোগতিতেই দেখা যায় তার প্রকট প্রতিফলন। ১৯৮৯তে সদ্যোজাত শিশুর সংখ্যা যেখানে ছিল ১লক্ষ ৯৯হাজার, ১৯৯৪তে তা কমে হয় মাত্র ৭৯হাজার। এবং সামাজিক এই প্রলয় এখনও চলছে। পূর্ব জার্মানির জনসংখ্যা এখন এক কোটি ৩০লক্ষ, যেখানে কুড়ি বছর আগে ছিল এক কোটি ৪৫লক্ষ। এখনও প্রতিদিন গড়ে ১৪০জন পাড়ি দেন পূব থেকে পশ্চিমে।

আজ আবার ‘ফিরে এসেছেন কার্ল মার্কস। আর্থিক সঙ্কট যখন দাঁত বসাচ্ছে জার্মানিতে, বইপ্রেমীরা তখন মুখ লুকোচ্ছেন কার্ল মার্কসে। ’ শিরোনাম ব্রিটিশ গার্ডিয়ান পত্রিকায়। প্রতিবেদনে জার্মান ‘প্রকাশক ও বই দোকানের মালিকরা জানিয়েছেন, তাক থেকে হু হু করে উড়ে যাচ্ছে তাঁর বই। ’ কারণ, মানুষ ‘অভিজ্ঞতায় বুঝেছেন, সুখের নয়া-উদার প্রতিশ্রুতি আদৌ সত্যি বলে প্রমাণিত হওয়ার নয়।

’ সঙ্কট ওয়াল স্ট্রিটে, আর বার্লিনের রাস্তায় হুহু করে বিকোচ্ছে মার্কসের ‘দাস ক্যাপিটাল’। বিক্রি বেড়েছে এক ধাক্কায় তিনগুণ। এমনকী জার্মানির অর্থমন্ত্রী পির স্টেইনবার্ক পর্যন্ত যথেষ্ট বিরক্তি আর হতাশার সঙ্গে স্বীকার করেছেন, ‘মার্কসের তত্ত্বের কিছু অংশ সত্যিই ততটা খারাপ নয়। ’ মার্কিন টাইম পত্রিকার ইউরোপীয় সংস্করনের একেবারে প্রচ্ছদে জায়গা করে নিয়েছেন কার্ল মার্কস। পাতাজোড়া শিরোনাম, ‘হোয়াট উড মার্কস থিঙ্ক?’ পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে প্রকাশিত ডাকসাইটে সাপ্তাহিক নিউজউইকে কভার স্টোরি, ‘উই আর অল সোস্যালিস্ট নাও।

’ সরব ঘোষণা, আমার এখন সবাই সোস্যালিস্ট। দুনিয়া বামপন্থার দিকে। বাড়ছে সমাজতন্ত্রের প্রতি আস্থা। নাহলে খোদ মার্কিন মুলুকে মাত্র, মাত্রই ৫৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন পুঁজিবাদ সমাজতন্ত্রের তুলনায় ভালো। এবছর এপ্রিলে করা জনমত সমীক্ষা।

কুড়ি শতাংশ সরাসরি জানিয়েছেন সমাজতন্ত্রের কথা। বাকি ২৭ শতাংশ দোলাচলে। অথচ, ক’দিন আগেও ৭০ শতাংশ মার্কিন নাগরিকের অগাধ আস্থা ছিল খোলা বাজার অর্থনীতিতে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো পত্রিকাতেও দস্তুরমতো ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ নিয়ে সম্পাদকীয়। ‘দ্য গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দি ব্যাঙ্ক।

’ সমাজতন্ত্রের ভূত দেখছেন মার্কিন অভিজাতরা! নাহলে রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাকে পর্যন্ত শুনতে হয় ‘আপনি কী একজন সোস্যালিস্ট ?’

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।