আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিজিটাল আয়কর



ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন- দুঃস্বপ্ন নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। বুঝে না বুঝে কে কত রকমের ডিজিটাল প্রযুক্তি আবিস্কার করেছেন তারও হিসাব নেই। ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আনাকে হুট করে পাবলিকে ডিজিটাল টাইম ঘোষণা করে দিল আর তাই চলছে দেদারছে। এটি কেউ আলোচনা করে ঠিক করেনি, কোন রাজনৈতিক দলেরও তেমন ভূমিকা নেই। আবার বুদ্ধি বিক্রি করা লোকও তাতে ভূমিকা পালন করেনি।

আপনা থেকেই চালু হয়ে গেছে। বস্তুত এতে করে ডিজিটাল শব্দটির অপব্যবহারই হচ্ছে বেশি। আদালত ব্যবস্থাপনা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, কর ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, পুলিশ, স্বাস্থ্য এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় সবার আগে ডিজিটাল হওয়া জরুরি। মানুষ এইসব ক্ষেত্রগুলিতে অনেক বেশি ভোগান্তিতে পড়ে থাকে। কর ব্যবস্থা বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার- টিআইএন, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক- আরজেএস প্রভৃতি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার আগে জনমত নেওয়া দরকার।

বিশেষ করে আমাদের দেশে যারা আয়কর দেওয়ার উপযুক্ত তারাই আয়কর ফাঁকি দেয়। যারা আয়কর দেওয়ার সামর্থহীন তাদের তো আয়কর নিয়ে কোন ভাবনাই নেই। আয়কর ফাঁকির সাথে কমবেশি যারা আয়কর প্রদানের সহযোগি তারাও দায়ি। সেজন্য ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার ক্ষেত্রে আয়কর উপদেষ্টার মাধ্যমে আয়কর প্রদানের প্রক্রিয়াটি বাতিল করে আইনজীবির মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি নিস্পন্ন করার ব্যবস্থা চালু করা দরকার। ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভরতার সাথে আইনজীবির মাধ্যমে আয়কর দাতা এবং টিআইএন গ্রহিতা একটি হলফনামা প্রদান করলে তাতে আয়কর দাতার জবাবদিহিতা একধাপ এগিয়ে যেতে পারে।

এমনকি আইনজীবি সংশ্লিষ্ঠ হলফনামাটি উন্মুক্ত করে দিতে পারবেন এবং ই-মেইল ঠিকানার মাধ্যমে সহজে টিআইএন নম্বর জেনে নিতে পারবেন, খুব সহজে ডাউনলোডের মাধ্যমে টিআইএন, রিটার্ণ প্রভৃতি প্রিন্ট করে নিতে পারবে। এটি আসল নকলের কোন বিষয় থাকবে না কারণ একজন একটি মাত্র নম্বর যাকে ইউনিক বলা যেতে পারে তা পাবে এবং ওয়েবে যাবতীয় তথ্য তাকার কারণে মিলিয়ে নেওয়া খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়বে না। একই সাথে ডিজিটাল বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবির বারের সদস্য নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত করার বিধান চালু করা দরকার। বিশেষত ইউনিকোড সাপোর্ট করা বাংলা সফটওয়ারের মাধ্যমে কর প্রদানকারির তথ্য ফরম পূরণ করা উচিত। জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক আয়কর দাতার নাম ঠিকানা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য ওয়েব সাইটে রক্ষণাবেক্ষন করা উচিত।

তাতে আয়কর দাতা পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে তার প্রয়োজনীয় তত্য জেনে নিতে ও কাজে লাগাতে পারবে। এবং অন্য যে কেউ এতদ বিষয়ে জানতে চাইলে জেনে নিতে পারবে। অন্যদিকে আইনজীবির ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সমস্ত অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা রাখা দরকার। তাতে জবাবদিহিতার বিষয়টি পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হতে পারে। কেবল উন্মুক্ত পদ্ধতিতে যেখানে সেখানে সাইবার ক্যাফে থেকে তথ্য ফরম পূরণ করার ফলে আবোল তাবোল অনেক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

যাতে সহজ করার উল্টা ফল এমনি জটিল হবে যা থেকে আর বের হওয়াই কঠিন হবে। এছাড়া এখনো সকলের ই-মেইল ঠিকানা না থাকার ফলে হয়তো এনবিআর এর ওয়েব খোলে ডাটা ফরম পূরন করা সম্ভব হবে কিন্তু যাচাই বাচাই ও ফিডব্যাকের ব্যবস্থা রাখা যাবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.