১৩ নভেম্বর বেদনা বিধুর কুড়িগ্রামের হাতিয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকসেনা ও তাদের দেশীয় রাজাকাররা সম্মিলিতভাবে হাতিয়ার কয়েকটি গ্রামে গণহত্যা চালায়। শহীদ হয় ৬শ’ ৯৭ জন নিরস্ত্র মানুষ। শহীদ পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়ভাবে এখনও দিনটি স্মরণ করে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে।
১৯৭১’র এই দিনে গ্রামের শান্তিকামী মানুষ রমজানের সেহেরী খেয়ে যখন ঘুমিয়ে পড়ে, ঠিক তখনই পাকসেনারা ঘুমন্ত মানুষের উপড় অতর্কিতভাবে চারদিক ঘিরে ফেলে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়।
তাদের এই নির্মম হত্যাকান্ড থেকে রক্ষা পায়নি কোলের শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরাও।
দাগারকুটি গ্রামেই ৬শ’ ৯৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গণকবর দেয়া হয়। গণকবর ও স্মৃতি স্তম্ভটি ইতিমধ্যেই ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে স্থানান্তরিত স্মৃতি স্তম্ভটি এখন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
স্বাধীনতার ৩৮ বছর পরেও শহীদ পরিবারগুলো দাবি জানায়, তাদের স্বজনদের স্মৃতি রক্ষায় ব্যবস্থা নেবে সরকার।
সেই সাথে সেদিনের দোসরদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ সংক্রান্ত ভিডিও: http://www.youtube.com/watch?v=vcdYwz7Yz2E
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।