খুনের ব্যাপারে মৌলবাদীরা কখনও টার্গেট মিস করে না। এটা সবার মনে রাখা দরকার। আর জামাত শিবির বিভিন্ন ব্লগে ব্লগারদেও নিয়ে যেভাবে কানামাছি খেলে তাতে বোঝা মুশকিল কে জামাত আর কারা জামাত শিবির নয়। হতে পারে জামাত শিবিরও মিশে গেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে আসা ব্লগারদের সঙ্গে। এমনকি এদের অনেকেই শাহবাগের মিছিলে-শ্লোগানেও আছে।
রাজীবকে যারা খুন করেছে বা খুন সংগঠিত করার পরিকল্পক তাদের মধ্যে রাজীবের চেনা জানা লোকও থাকতে পারে। থাকতে পারে-এ কারণে ব্লগে দেখা যায় বেশ খায়- খাতির এক ব্লগারের সঙ্গে অন্যের। এ খায়-খাতিরের মধ্যে জামাত শিবিরের কেউ কেউ থাকলে তো চেনা দায়। এরাই ছদ্মবেশি জামাতি যারা ভয়ঙ্কর কৌশলে রাজীবের বন্ধু হয়ে যেতে পারে। আর গণমাধ্যমের ভাষায় যাদের পেশাদার খুনি বলা হয় মৌলবাদীদের তেমন পেশাদার খুনি আছে।
অথবা খুনই তাদের রাজনীতির কৌশল। যাদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জামাত সহ অন্য মৌলবাদীদের অতীতের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো বিশ্লেষণ করলে এটা বের হয়ে আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এমন ফেব্র“য়ারি মাসেই বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদকে খুন করার জন্য চাপাতি দিয়ে বেদড়ক কুপিয়েছিল মৌলবাদী সংগঠন জেএমবির প্রশিক্ষিত খুনি চক্র। তবে হুমায়ুন আজাদ খুনিদের মধ্যে জামাতের সাঈদীর নামও বলেছিলেন।
কিন্তু পরে তার নাম বাদ দেয়া হয়। সেই খুনিরা বা একই পরিকল্পনাকারিরা রাজিবের খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করার কোন কারণ নেই মৌলবাদীদের হাই কমান্ডের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। হুমায়ুন আজাদের যারা খুনি বা তাদের যে প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই একই প্রক্রিয়ায় রাজীবের খুনিকেও ধরা সম্ভব।
রাজীব যতদিন বা যতক্ষণ শাহবাগে ছিল তখন তাকে বাগে পায়নি খুনিরা।
যখন তিনি বাসায় গেছেন তখন তাকে খুন করার সুযোগ পায় খুনীরা। অর্থাৎ শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরেও তাকে অনুসরণ করেছে খুনীরা। অথবা তার বাসায় যাওয়ার কোন ফাঁদ তৈরিও করতে পারে তারা।
মৌলবাদীরা ভিন্নমত ও পথ সহ্য করতে পারেনা। যুক্তিতে থাকতে চায়না।
গ্রামের একজন চাষাভূষা কিংবা একজন রিকশাওয়ালারও যুক্তি থাকতে পারে। দ্বিমত থাকতে পারে। সহমত পোষণ না করতেই পারে। প্রতিষ্ঠিত মত ও পথের বিরোধিতা করতেই পারে। কিন্তু এটার সমাধান কাউকে খুন করা নয়।
যুক্তির অস্ত্র যাদের ভোঁতা তারাই ধারালো ধাতব অস্ত্র ব্যবহার করে। যুক্তিতে তারা অচল তাদের লজ্জাবোধ নেই। খুনী মৌলবাদীরা যুক্তি ও ভিন্নমতকে কখনো স্তব্ধ করতে পারেনি পৃথিবীতে। জামাত -শিবিরের মানবতাবিরোধী অপরাধী যারা আজকের তাদের আব্বাজান বিচারের মুখোমুখি তারাও ৭১ সালে একই রকম মত্ত মাতণ্ডের মত বর্বরতা চালিয়েছিল। ৪২ বছর পর হলেও তারা আজ পার পাচ্ছে না।
এরাও পার পাবে না।
সরকারের কাছে একটা আবেদন কোন ধরনের অবহেলা না করে দ্রুত রাজীব হত্যাকারিদের খুঁজে বের করা। শাস্তি দেয়া হোক। হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার এখনও শেষ হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া যেন আর প্রলম্বিত না হয়।
এটাও বলছি যে রাজীবের তথাকথিত নাস্তিকতা নিয়ে অনেকেই কথা বলছে। কিন্তু শাহবাগে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটা রাজীবের ব্যক্তিগত কোন বিষয় নয়। শাহবাগের গণদাবি রাষ্ট্রের মৌল চেতনা প্রতিষ্ঠার দাবি। এ চেতনা ও আদর্শ তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে যখন যুদ্ধাপরাধী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রে বিভেদ সৃষ্টিকারিদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে। এটা রাজীবের একার চাওয়া নয়।
যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির ছাড়া দেশের সব মানুষ এজন্য অধীর অপেক্ষা করছে।
আর সরকারের সাইবার প্রশাসনের উচিত থাবা বাবার নামে ওয়ার্ডপ্রেসে যে ব্লগগুলো আছে সেগুলো সত্যি রাজীবের কিনা। তাহলে আন্দোলনে বিরোধিতাকারিদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া যাবে।
খুনের ব্যাপারে মৌলবাদীরা কখনও টার্গেট মিস করে না। এটা সবার মনে রাখা দরকার।
আর জামাত শিবির বিভিন্ন ব্লগে ব্লগারদেও নিয়ে যেভাবে কানামাছি খেলে তাতে বোঝা মুশকিল কে জামাত আর কারা জামাত শিবির নয়। হতে পারে জামাত শিবিরও মিশে গেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে আসা ব্লগারদের সঙ্গে। এমনকি এদের অনেকেই শাহবাগের মিছিলে-শ্লোগানেও আছে। রাজীবকে যারা খুন করেছে বা খুন সংগঠিত করার পরিকল্পক তাদের মধ্যে রাজীবের চেনা জানা লোকও থাকতে পারে। থাকতে পারে-এ কারণে ব্লগে দেখা যায় বেশ খায়- খাতির এক ব্লগারের সঙ্গে অন্যের।
এ খায়-খাতিরের মধ্যে জামাত শিবিরের কেউ কেউ থাকলে তো চেনা দায়। এরাই ছদ্মবেশি জামাতি যারা ভয়ঙ্কর কৌশলে রাজীবের বন্ধু হয়ে যেতে পারে। আর গণমাধ্যমের ভাষায় যাদের পেশাদার খুনি বলা হয় মৌলবাদীদের তেমন পেশাদার খুনি আছে। অথবা খুনই তাদের রাজনীতির কৌশল। যাদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
জামাত সহ অন্য মৌলবাদীদের অতীতের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো বিশ্লেষণ করলে এটা বের হয়ে আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এমন ফেব্র“য়ারি মাসেই বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদকে খুন করার জন্য চাপাতি দিয়ে বেদড়ক কুপিয়েছিল মৌলবাদী সংগঠন জেএমবির প্রশিক্ষিত খুনি চক্র। তবে হুমায়ুন আজাদ খুনিদের মধ্যে জামাতের সাঈদীর নামও বলেছিলেন। কিন্তু পরে তার নাম বাদ দেয়া হয়। সেই খুনিরা বা একই পরিকল্পনাকারিরা রাজিবের খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করার কোন কারণ নেই মৌলবাদীদের হাই কমান্ডের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। হুমায়ুন আজাদের যারা খুনি বা তাদের যে প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই একই প্রক্রিয়ায় রাজীবের খুনিকেও ধরা সম্ভব।
রাজীব যতদিন বা যতক্ষণ শাহবাগে ছিল তখন তাকে বাগে পায়নি খুনিরা। যখন তিনি বাসায় গেছেন তখন তাকে খুন করার সুযোগ পায় খুনীরা। অর্থাৎ শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরেও তাকে অনুসরণ করেছে খুনীরা।
অথবা তার বাসায় যাওয়ার কোন ফাঁদ তৈরিও করতে পারে তারা।
মৌলবাদীরা ভিন্নমত ও পথ সহ্য করতে পারেনা। যুক্তিতে থাকতে চায়না। গ্রামের একজন চাষাভূষা কিংবা একজন রিকশাওয়ালারও যুক্তি থাকতে পারে। দ্বিমত থাকতে পারে।
সহমত পোষণ না করতেই পারে। প্রতিষ্ঠিত মত ও পথের বিরোধিতা করতেই পারে। কিন্তু এটার সমাধান কাউকে খুন করা নয়। যুক্তির অস্ত্র যাদের ভোঁতা তারাই ধারালো ধাতব অস্ত্র ব্যবহার করে। যুক্তিতে তারা অচল তাদের লজ্জাবোধ নেই।
খুনী মৌলবাদীরা যুক্তি ও ভিন্নমতকে কখনো স্তব্ধ করতে পারেনি পৃথিবীতে। জামাত -শিবিরের মানবতাবিরোধী অপরাধী যারা আজকের তাদের আব্বাজান বিচারের মুখোমুখি তারাও ৭১ সালে একই রকম মত্ত মাতণ্ডের মত বর্বরতা চালিয়েছিল। ৪২ বছর পর হলেও তারা আজ পার পাচ্ছে না। এরাও পার পাবে না।
সরকারের কাছে একটা আবেদন কোন ধরনের অবহেলা না করে দ্রুত রাজীব হত্যাকারিদের খুঁজে বের করা।
শাস্তি দেয়া হোক। হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার এখনও শেষ হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া যেন আর প্রলম্বিত না হয়।
এটাও বলছি যে রাজীবের তথাকথিত নাস্তিকতা নিয়ে অনেকেই কথা বলছে। কিন্তু শাহবাগে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটা রাজীবের ব্যক্তিগত কোন বিষয় নয়।
শাহবাগের গণদাবি রাষ্ট্রের মৌল চেতনা প্রতিষ্ঠার দাবি। এ চেতনা ও আদর্শ তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে যখন যুদ্ধাপরাধী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রে বিভেদ সৃষ্টিকারিদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে। এটা রাজীবের একার চাওয়া নয়। যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির ছাড়া দেশের সব মানুষ এজন্য অধীর অপেক্ষা করছে।
আর সরকারের সাইবার প্রশাসনের উচিত থাবা বাবার নামে ওয়ার্ডপ্রেসে যে ব্লগগুলো আছে সেগুলো সত্যি রাজীবের কিনা।
তাহলে আন্দোলনে বিরোধিতাকারিদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।