অসুস্থ নগরে একটু সুস্থতার খোঁজে ...........
বাংলাদেশের ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ হারিয়েছি অনেক আগে, যখন অকাল প্রয়াত মোনেম মুন্না অবসরে গেলেন তখন। এরপর তেমন কোন আগ্রহ জাগেনি । ক্রিকেট নিয়ে যতো আশা ভরসা । ফুটবলের এ অবস্থা একদিনে হয়নি । কর্মকর্তাদের গদি আঁকড়ে ধরার মানসিকতা দেশের ফুটবলকে ধ্বংস করে দিয়েছে ।
কোন কোচ যখন সংকীর্ণ মানসিকতা ছেড়ে ফুটবলের স্বার্থে কাজ করতে চেয়েছেন তখন তাকে ধরতে হয়েছে বাড়ীর পথ । দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার সালাউদ্দীন বাফুফে সভাপতি হলেন, আশার বাণী শোনালেন । প্রথম আলোর বদলে যাওয়ার শপথের মতোই ফুটবলকে বদলে দেবার বাসনা তার। আসলেন ব্রাজীলিয় কোচ ডিডো । ডিডোর মতাদর্শ অনেকের পছন্দ হলো না।
তারা সুযোগ খুঁজতে লাগলেন , কি করে লোকটাকে তাড়ানো যায় । কারন ফুটবলের ভালো হলে তাদের অনিয়ম যে চলবে না । ফুটবলারদের মাধ্যমে একটা ইস্যু করে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হলো যাতে কিছু লোকের ফাঁদে পড়তে হলো ডিডোকে । ফলাফল বহিষ্কার ।
আবার একজন ফুটবল কোচ বহিষ্কৃত হলেন , আমার মনে হয় তার সাহসী সিদ্ধান্ত অনেকে মানতে পারেননি ।
কেন, আইসিএলে দেশের প্রধান ক্রিকেটাররা চলে যাবার পরেও ক্রিকেট যেমন থমকে দাড়ায়নি ফুটবলও হয়তো থমকে দাড়াতো না । কে বোঝাবে দেশের ফুটবল কর্তাদের । তারা জানে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম নিয়ে ক্রিকেটের সাথে রশি টানাটানি করতে (যদিও এটা অতীত), জানে না ফুটবল নিয়ে ভাবতে ; জানে না যোগ্য ব্যক্তির হাতে ফুটবলে ভার তুলে দিতে ।
সালাউদ্দীন সাহেব এখানে অসহায়, এতগুলো লোকের বিরুদ্ধে তিনি যে বড্ড একা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।