প্রথম পর্ব
ভালো বাসার খোঁজে - উপক্রমনিকা
দ্বিতীয় পর্ব
ভালো বাসার ঠিকুজী
স্টুডিও এপার্টমেন্টের এর চাইতে ভালো বাংলা আর করা গেলো না- "ব্যাচেলরের বাসা"! এই পর্বে এটা নিয়েও কিছু বলা উচিত মনে হলো। কারণ আজকাল ঢাকা শহরে 'স্টুডিও এপার্টমেন্টের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে তরুন এক্সিকউটিভদের কাছে।
'স্টুডিও এপার্টমেন্ট বলতে বোঝায় ৪০০ থেকে ৫০০ এস এফটির বাসা; যেখানে একটি বেড রুম, এটাচ টয়লেট, একটি লিভিং বা ড্রইং রুম, ডাইনিং এবং কিচেন স্পেস থাকে। শহরের ব্যস্ত এক্সিকিউটিভ বা সদ্য দাম্পত্যে প্রবেশ করা জুটির জন্য বেশ উপযোগী।
এর লোকেশন ও মূল্য দুই ই তাদের হাতের বেশ নাগালেই থাকে। সংসারে যাদের এক বা দুই সন্তান; তারা অনায়সেই বছর দশেক সেখানে দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারবেন। এরপর ক্রয়ক্ষমতাও বাড়ে, সংসারও বড় হয়। তখন এটা বিক্রি বা ভাড়া দিয়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার মতো সামর্থ্যও অর্জিত হয়ে যায়। তাই আজকাল অনেকেই এই "স্টুডিও এপার্টমেন্ট কে তাদের পছন্দের ভেতরেই রাখছে।
আপনিও রাখতে পারেন।
স্টুডিও এপার্টমেন্ট বাছাই করতে গেলে যা যা লক্ষ্য রাখবেন-
১। সাইটের অবস্থান কোথায়? সি এন জি পাওয়া যাবে তো? গাড়ী রাখার গ্যারেজ কি আছে? বাজার, খুচরা তৈজসের দোকান কতদূরে? বাচ্চার স্কুল কি কাছেই? আপনার নিকট অভিভাবকদের কেউ কি কাছে পিঠে থাকেন?
২। বিল্ডিং এ কয়টা পরিবার আসবে? পর্যাপ্ত লিফ্ট আছে কি? নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কি?
৩। কমন বিল কতো আসতে পারে।
আপনার আয়ত্তের মধ্যে তো?
৪। এপার্টমেন্টে আলো বাতাস পর্যাপ্ত পাওয়া যাবে তো?
৫। ওপেন কিচেন হলে, বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ভালো আছে কিনা খেয়াল রাখবেন।
৬। সম্ভব হলে কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে একসাথে পাশাপাশি কিনুন।
৭। ফ্লাট কবে হ্যান্ডওভার করা হবে সেটাও বিবেচনায় রাখবেন।
আজকে এটুকুই।
ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।