আমি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে ভালবাসি ।
শিশু জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। শিশুদের ভাল করতে হলে, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হলে, তাদের সুখী করতে হবে। শিশুর ধারণ ক্ষমতা অনুসারে শিক্ষা দিলে সে একদিন কালজয়ী বিশেষজ্ঞ হতে পারবে। আনন্দের মাঝেই শিশুর শিক্ষাজীবনের অবস্থান।
কঠোর শাসন, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিকূল পরিবেশ শিশুর শিক্ষাজীবনকে অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দেয়। শিশুর মনের আনন্দই তার দেহমনের শক্তির মূল উৎস। আনন্দ ও শিশুবান্ধব পরিবেশ ছাড়া তার সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ অসম্ভব। Joyful Learning হচ্ছে শিশুশিক্ষার অন্যতম মাধ্যম।
আনন্দমূলক শিক্ষা তথা Joyful Learning নিয়ে আলোচনা করতে হলে আমাদের Education সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
ইংরেজি Education শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হল শিক্ষা। Education শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ থেকে। ল্যাটিন ভাষায় ৩টি মৌলিক শব্দের সন্ধান পাওয়া যায়। এর একটি হল Educare. Educare শব্দের অর্থ হল লালন করা, পরিচর্যা করা, প্রতিপালন করা। অর্থাৎ শিশুদের আদর যত্নের মাধ্যমে পরিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার নামই হল শিক্ষা।
পূর্বে শিক্ষা বলতে বোঝানো হতো শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করা বা শাসন করা। শিশুকে নিয়ন্ত্রণ ও শৃক্মখলার মধ্যে রেখে বিদ্যাদান করার যে পদ্ধতি আমাদের দেশ তথা এতদঞ্চলে প্রচলিত ছিল, তাকেই শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু আধুনিক শিক্ষাবিদরা এ ধরনের শিক্ষাকে সংকীর্ণ শিক্ষা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শিশুর ওপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার নাম শিক্ষা নয়। শিশুর গ্রহণ উপযোগী আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষাদানই হল প্রকৃত শিক্ষা।
প্রখ্যাত ফরাসী দার্শনিক জ্যাঁ জ্যাঁক রুশো বলেন, 'Education is the child's development from with in' অর্থ্যাৎ ‘শিক্ষা হল শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত আত্মবিকাশ'।
শিশুর সামর্থ্য ও শক্তিগুলোর স্বাভাবিক ও সুষম বিকাশই শিক্ষার লক্ষ্য। শিশুর অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যগুলো আবিষ্কার এবং তার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনই শিক্ষকের প্রধান কাজ।
শিশু শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষাবিদ থমসন বলেন, ‘‘শিক্ষা হল শিশুর ওপর পরিবেশের প্রভাব, যে প্রভাবের দ্বারা শিশুর বাহ্যিক আচরণ, চিন্তাধারা এবং দৃষ্টিভঙ্গির স্থায়ী পরিবর্তন হয়। ’’
শিশুরা কোমল মনের অধিকারী।
আনন্দঘন পরিবেশে থাকতেই তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। শাসন, নিয়ন্ত্রণ, ভীতিকর ও বিষাদময় পরিবেশ শিশুর শিক্ষালাভকে বাধাগ্রস্ত করে। শিশু শিক্ষা ও আনন্দ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। আনন্দ ছাড়া কোমলমতি শিশুরা শিক্ষালাভে উৎসাহিত হবে না। শিক্ষার্থীর শিক্ষাকাল হল একটা মানসিক ভ্রূণ অবস্থা।
উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই সেই ভ্রূণ বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। শিশুরা শিখবে আনন্দের মাধ্যমে, নিজের ইচ্ছামত, ঘুরে ফিরে, কল্পনার ফানুস উড়িয়ে, খেলাধুলার মাধ্যমে মনের অজান্তে। প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ রেখে মনের চর্চা করবে তারা, শ্রেণীকক্ষের চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে নয়। ওরা শিখবে বিদ্যালয়, পরিবার ও সমাজ থেকে, একান্ত নিজের মতো করে। অজানাকে জানার সঙ্গে করবে মিতালী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘আনন্দহীন শিক্ষা শিক্ষা নয়, যে শিক্ষায় আনন্দ নেই, সে শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা হতে পারে না। ’’ রবীন্দ্রনাথ আনন্দহীন শিক্ষা প্রসঙ্গে আরো বলেছেন, ‘‘অন্যদেশের ছেলে যে বয়সে নবো গত দন্তে আনন্দমনে ইক্ষুচর্বন করিতেছে, বাঙালির ছেলে তখন স্কুলের বেঞ্চির উপর কোঁচা সমেত দুইখানি শীর্ণ খর্ব চরণ দোদুল্যমান করিয়া শুধুমাত্র বেত হজম করিতেছে, মাস্টারের কূটগালি ছাড়া তাহাতে আর কোনরূপ মশলা মিশানো নাই। ’’
বিদ্যালয়ে আনন্দমূলক পরিবেশে শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিশুর প্রতিভা বিকশিত করার ব্যাপারে শ্রেণীশিক্ষকের ভূমিকাই মুখ্য। একজন শিক্ষকের ওপরই বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছে একজন সুনিপুণ মিস্ত্রী, যিনি গঠন করবেন শিশুর মানবাত্মা।
তিনি জাতি গঠনের সর্বশ্রেষ্ঠ কারিগর।
আদর্শ শিক্ষক সম্পর্কে কবি গোলাম মোস্তফা লিখেছেন,
সকলের মোরা নয়ন ফুটাই, আলো জ্বালি সব প্রাণে
নব নব পথ চলিতে শেখাই-জীবনের সন্ধানে।
পরের ছেলেরে এমনি করিয়া শেষে
ফিরাইয়া দেই পরকে আবার অকাতরে নিঃশেষে।
পিতা গড়ে শুধু শরীর, মোরা গড়ি তার মন,
পিতা বড় কিবা শিক্ষক বড়-বলিবে সে কোন জন?
শিক্ষার্থীর মন কোমল ও ভীতিপ্রদ এবং সৃজনশীল। একজন আদর্শ শিক্ষকের কাজ শিক্ষার্থীর মনের ভীতি দূর করে সৃজনশীল কাজে তাদের সহায়তা করা।
শিশুর জীবন দলছুট হরিণের মতো। তারা সব সময় গতিবদ্ধ জীবন হতে বেরিয়ে আসতে চায়, বাধার প্রাচীর ভাঙতে চায়। তারা চায় নীল আকাশের নীচে উন্মুক্ত জীবন, যেখানে কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম শৃক্মখলা থাকবে না। তাই শিশুর রুচি ও মানসিক চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের মূল কাজ হচ্ছে শিশুর মাঝে মুক্ত চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সঠিক পথে পরিচালিত করা।
শিক্ষককে আনন্দমূলক শিক্ষার কৌশল রপ্ত করতে হবে। শ্রেণীকক্ষে নাটকীয় ভঙ্গিমায় চিন্তাকর্ষক পাঠদান করতে হবে। শিশুদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে হবে। এতে করে তাদের কোমল মনের চিন্তার প্রসারতা ঘটবে।
বিদ্যালয় শিশুর মেধা ও মননশীলতার বৈচিত্র্যময় লীলাভূমি।
এটি শিশুর অবাধ জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রস্থল। শিক্ষক হলেন এ অবাধ জ্ঞানচর্চাকেন্দের নিয়ন্ত্রক। অহেতুক ভয়-ভীতি, সংশয় ও দ্বিধা শিশুর জ্ঞান লাভের স্পৃহাকে নষ্ট করে দেয় এবং তাদের মনে একঘেঁয়েমি সৃষ্টি করে। সুতরাং শিশুর জানার পথে যাতে একঘেঁয়েমি সৃষ্টি না হয় সেদিকে আদর্শ শিক্ষককে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। শিক্ষককে শেখার পরিবেশে নতুনত্ব আনতে হবে।
গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে বৈচিত্র্যময় শিক্ষার ধারা প্রবর্তন করতে হবে।
শিক্ষককে শিশুর মত, বন্ধুর মত আচরণ করে তাদের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। তাদেরকে অনায়াসে প্রশ্ন করার এবং মনের ভাব প্রকাশের জন্যে সুযোগ দিতে হবে। সহজ, সরল, সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় করতে হবে পাঠদান।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগণকে তাদের প্রশিক্ষণের জ্ঞান শ্রেণীকক্ষে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
বিশেষ করে নারী শিক্ষকদের মাতৃস্নেহে পাঠদানে অভ্যস্ত হতে হবে।
প্রতিটি শিক্ষককে শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে দক্ষ ও কৌশলী হতে হবে।
শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ সম্পর্কে সচেতনতার জন্য শিক্ষকদের শিশু মনোবিজ্ঞানে জ্ঞানী হতে হবে।
শিক্ষকের শিক্ষাদান সংক্রান্ত বিষয়ে ইংরেজিতে একটি কথা আছে, 'No system of education is better than it's teachers' অর্থাৎ ‘কোনও শিক্ষাদান পদ্ধতিই স্বযং শিক্ষক অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে না'।
ইংরেজিতে আরেকটি কথা আছে, 'Teacher is the best method' অর্থাৎ ‘শিক্ষকই সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি'।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল ফজল বলেছেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির জনশক্তি তৈরির কারখানা আর রাষ্ট্র ও সমাজদেহের সব চাহিদার সরবরাহকেন্দ্র। ওখানে ত্রুটি ঘটলে দুর্বল আর পঙ্গু না করে ছাড়বে না। ’’
আমাদের দেশে শিশুশিক্ষার জন্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্র্যাক স্কুল, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, কিন্ডারগার্টেন, এবতেদায়ী মাদরাসা, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র। কমিউনিটি স্কুল অন্যতম।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষাদান ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের অভাবসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকায় শিশু শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আনন্দমূলক ও শিশুবান্ধব পরিবেশে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের গুরুত্ব এবং প্রভাব অনস্বীকার্য। Joyful Learning এর ক্ষেত্রে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু কিছু বিষয় থাকা অত্যাবশ্যক। এসব ছাড়া শিশুর প্রতিভা বিকাশ মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বিষয়গুলো হলো :
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুশোভিত, মনোরম পরিবেশে অবস্থিত স্কুল আঙ্গিনা
পর্যাপ্ত উপকরণ
সহ-শিক্ষা কার্যক্রম
শিশুতোষ সাহিত্য ও লাইব্রেরি
খেলার মাঠ ও পর্যাপ্ত খেলাধূলার সামগ্রী
কোলাহলমুক্ত পরিবেশ
ফুলের বাগান
আনন্দ ভ্রমণ ও শিক্ষাসফর
শারীরিক প্রতিবন্ধী, টোকাই ও সুযোগ বঞ্চিত শিশুদের আলাদা শিখন সামগ্রীর ব্যবস্থা।
অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ।
বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কারের ব্যবস্থা
শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য বা অর্থ কর্মসূচি বৃদ্ধি
শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ
ভোটার লিস্ট, জরিপ, টিকাদানসহ জাতীয় কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সম্পৃক্ত না করে নিবিড় পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
পরিবার হল প্রাথমিক এবং মৌলিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। পরিবার শাশ্বত বিদ্যালয়। শিশু প্রথম শিক্ষা লাভ করে তার পরিবার থেকে।
তাই তার নিজ পরিবারের পরিবেশ আনন্দঘন ও শিক্ষা উপযোগী হতে হবে। শিশুবান্ধব পরিবেশে শিক্ষার ব্যাপারে পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও অন্য বড় সদস্যদের ভূমিকা থাকতে হবে। তাদের সবসময় সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। পরিবারে যেসব বিষয়ের উপস্থিতি থাকা দরকার তা হলো-
পরিবারে শিশুর পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ বিরাজ করতে হবে।
বিনোদনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শিশু মনে দাগ কাটতে পারে এমন অশোভন আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
শিশুর সামনে গাল-মন্দ, ঝগড়া-ঝাটি, মিথ্যা কথা বলা, অনৈতিক আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রতিমুহূর্ত খেলারছলে নতুন কিছু শেখাতে হবে।
শিশুদের সবসময় হ্যাঁ বলতে হবে, না বলা যাবে না।
শিশুদের নিয়ে বেড়াতে যেতে হবে, মিনা সিসিমপুর এবং টম এন্ড জেরির মত আনন্দঘন অনুষ্ঠান দেখার সু-ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিবার হবে শিশুর আনন্দমূলক শিক্ষার সূতিকাগার।
পরিবারে শিশুর মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
শিশুর প্রতিভা বিকাশে সমাজেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সামাজিক পরিবেশ দ্বারা শিশু প্রভাবিত হয়। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে শিশু শিক্ষা লাভ করে থাকে।
সুস্থ সুন্দর সামাজিক পরিবেশ শিশুর মেধা মননশীলতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিশুর বিদ্যালয়ে যাতায়াতসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সমাজের।
শিশুশ্রম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সমাজের মানুষকে।
চিত্তবিনোদনের জন্য খেলার মাঠ, ক্লাব, পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে।
বৃত্তিমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের করতে হবে উৎসাহিত।
নিশ্চিত করতে হবে শিশুর অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থানের সু-ব্যবস্থা।
বিদ্যালয় থেকে শিশু শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সবাইকে।
প্রতিটি শিশুর শিক্ষা, বেড়ে ওঠা, আচরণসহ সকল বিষয়ে আশ-পাশের মানুষকে সচেতন ও সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
শিশুবান্ধব পরিবেশ ও আনন্দহীন শিক্ষার ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র এর প্রভাবমুক্ত নয়।
আনন্দহীন শিক্ষার অভাবে-
শিশু বিদ্যালয়ে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
শিক্ষার প্রতি শিশুর মনে ভীতি জন্মাবে।
শিক্ষার্থী অকালে ঝরে পড়বে।
তারা সমাজবিরোধী, অসামাজিক, অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়বে।
শিশু বড় হয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝাস্বরূপ হবে।
শিক্ষিত ও সুনাগরিক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে জাতি।
অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ।
আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন হবে ব্যাহত।
রাষ্ট্রের মানবতাবোধ, উদার ও সহনশীল নাগরিকের অভাব দেখা দেবে।
দেশ ও সমাজ পরিচালনায় দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাব পরিলক্ষিত হবে।
বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রতিভাবান নাগরিকের অভাবে দেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
অতএব শিশুর প্রতিভা বিকাশে আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তবেই এর সুফল ভোগ করবে সবাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।