প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)
হিয়াবাসিনী-১। ০২০৮১৩। মধ্যরাত।
কে আমার গন্ধমাখা শার্টের গায়ে মেখে রেখেছে সুগন্ধি
বুকের ভেতর ওমপাখির পালকে সন্ধ্যাফুলের আল্পনা
কে এঁকেছে মুঠোভরা কান্নাগানের সুর বিজন টানে
সামনে এসো - হিয়াবাসিনী, জানি নও শুধুই কল্পনা!
হিয়াবাসিনী-৪। ১২০৮১৩।
দিনসমাপ্তি।
কবে কখন ভালোবেসে ফেলেছি
সে কি আর আমি জানি!
চোখের জলে কার ছায়া ডানার মত ভাসে
সে না হয় পাখি জানে
জল জানে তার কতখানি!
হিয়াবাসিনী-৫। ১৮০৮১৩। রাত্রিশেষ।
আমার রাতজাগা চোখ কপাট খুলে রাখে
হিয়ার মালিকানা চাইতে কেউ যদি ফিরে আসে
চেয়ে চেয়ে চোখের উঠোন ভরলো শ্যাওলাদাগে
হিয়াবাসিনী-আগের মতই কী ভালোবাসে!
হিয়াবাসিনী-৬।
১৯০৮১৩। রোদবিকেল।
তুমি উন্মোচিত হও মরুভূমির মত
স্পর্শ করো;
আমি তৃষিত প্রাণে জাগাতে জানি
জলের গান!
হিয়াবাসিনী -৭। ২১০৮১৩। ক্লান্তছায়াদুপুর।
বাতাসের হিসেব লেখা থাকে রোদের কাগজে
আমি সেখানে আঁকি হিয়ার সুরলেখচিত্র
যে থাকে দূরে-সে আমার কেউ নয়
আমি কেবল জানি মুগ্ধতার কম্পন কিছুমাত্র!
হিয়াবাসিনী-৮। ২৩০৮১৩। বুড়োসন্ধ্যা।
নীলমেঘরাত-আধখানা চাঁদ-হেঁটে যাব বলে
জলজ বিষাদ-ধুয়ে মুছে হাত-যূথবদ্ধ দোলে
বিষাদনাশিনী-হিয়াবাসিনী-হিয়ার ছায়াতলে
হঠাৎ মায়ায়-বেয়াড়া আমায়-বশ করে ফেলে।
হিয়াবাসিনী-৯।
৩০০৮১৩। আঁধার আলোর ভোর।
পুড়ে যাবে জেনেও হাত রেখেছি আগুনে
পাঁজরভাঙা শব্দগুলো খুব নীরবে
ভেবেছিলাম একটা দুটো কাব্য হবে
তাই হাত বাড়ালাম না বুঝে-না জেনে
সবশেষে পুড়ে গেছে হাত দুটো - আগুনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।