আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ, এই যুক্তরাষ্ট্র সেই যুক্তরাষ্ট্র...

গ্লোবাল পলিটিক্যাল সিস্টেম--@জিপিএস

বেশ কিছুদিন ধরেই এই নিয়ে আলোচনা চলছিল। গোল্ডস্টোনের রিপোর্ট জাতী সংঘে উপস্থাপনের পরই যুক্তরাষ্ট্র গাইগুই করা শুরু করে। আর ইসরায়েল সেই আগের মতোই কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই বলে বসে এই রিপোর্ট তারা মানে না। এইটা ইসরায়েল বিরোধী একটি প্রচারণার জন্য করা হয়েছে, ইত্যকার কথাবার্তা। তো, জাতী সংঘের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং মিশন যখন ফিলিস্তিন এবং অধীকৃত আরব ভূখন্ডের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত ঘটনার উপর সবিস্তারে প্রতিবেদন প্রদান করে তখন বারাক ওবামা তার দূত নিয়োগ করেছেন দুইরাষ্ট্র প্রশ্নে কূটনীতি জোরদার করতে।

কিন্তু তাতে যে অশ্ব ডিম্ব পয়দা কার ছাড়া আর কিছুই হয়নি, সেটা বেশ পরিষ্কার। হিলারির শেষ বক্তব্য বা ওবামার ফিলিস্তিনী নেতা মাহমুদ আব্বাসকে শর্তহীন আলোচনায় অংশ নিতে বলার ভিতর দিয়েই খোলাসা হয়েছে যে ইসরায়েলের ইচ্ছার অতিরিক্ত কিছু করার পরিকল্পনা তাদের নেই। মানবাধিকার আর কায়রো ভাষণ দিয়ে লম্বাচড়া কথার পর প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল জাতী সংঘের এই মানবাধিকার রিপোর্টকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের রাশ টেনে ধরার একটা সুযোগ নেয়া। কিন্তু তার ধারেকাছে ওবামা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে না। প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে গোল্ড স্টোনের রিপোর্টকে একপেশে বলে এর বিপক্ষে রাষ্ট্রপতিকে অবস্থান নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

তা হলে যারা দাবি করে যে যুক্তরাষ্ট্র কালো মানুষ রাষ্ট্রপতি বানিয়ে বর্ণবাদের ফয়সালা করেছে তাদের গালে এটা কি একটা চপেটাঘাত নয়? বর্ণবাদ চামড়ায় আর নেই। এখন সেটা কোথায় আছে তা বুঝার জন্য সভ্যতার সংঘাত কিংবা বুশ ডকট্রিন দেখাই শ্রেয়। ওবামা সেই নব্য বর্ণবাদী সাম্রাজ্য প্রসারেরই কান্ডরি। যারা গোল্ডস্টোনের পুরো রিপোর্টটা দেখতে চান, ( Click This Link)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.