সরকার ট্রেড ইউনিয়ন সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার প্রশ্ন, দেশে
কি ট্রেড ইউনিয়ন নিষ্ক্রিয় ছিল ? নাকি নতুন করে সরকারীকরণ করা হচ্ছে?
দেশে এখন টেন্ডারবাজদের ছড়াছড়ি। এরা সবাই সরকারের মদদপুষ্ট।
তাদের কোন আদর্শ নেই। লক্ষ্য হচ্ছে , লুটপাট করে খাওয়া।
তাও আবার একটা গণতান্ত্রিক সরকারের ছত্রছায়ায়।
টেন্ডারবাজির মূল লাভ হচ্ছে , কাজ শেষ না করেও টাকাটা তুলে নেয়া যায়। দলের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যায়। লাইন ঠিক রেখে পাশ
করা টেন্ডারের টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে নেয়া যায়।
মহাজোট সরকারের চামচারা তাই পড়িমরি হয়ে লেগেছে এই লুটপাটে,
টেন্ডারের নামে।
এর উপর আবার নতুন আসছে ট্রেড ইউনিয়নের আধিপত্য। দেশের নৌ পরিববহন মন্ত্রী শাহজাহান খান একজন শ্রমিক নেতা।
টংগীতে শ্রমিক খুন হবার পর তাকেই টিভিতে সক্রিয় হতে দেখা গেল।
পিছে পড়ে গেলেন স্বরাষ্ট্র , বানিজ্য, শ্রম বিষয়ক মন্ত্রীরা ।
এর কারণ কি ? শাহজাহান খান কি নতুন কোনো ফর্মূলা দেবেন
মহাজোট সরকারকে?
শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা দেয়া হোক, দাবী সেটাই।
তা না করে গার্মেন্টস সেক্টরে নিজস্ব গোয়েন্দা বসিয়ে কিংবা ট্রেড ইউনিয়ন সক্রিয় করে শ্রমিকের তুষের আগুন নেভানো যাবে কি ?
এতে প্রকৃত সুবিধাভোগী হবে রাজনীতিক, পুঁজিপতিরাই।
শ্রমিকের আদৌ কোনো কল্যাণ হবে বলে আমার আপাতত: মনে
হয় না।
ছবি- কেভিন ও'গ্রেডি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।