গতকাল সন্ধ্যায় শাহবাগে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজায় লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করে। ঘটনা শোনার পর মহুর্ত থেকেই বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্ত্বর। সেখানে এই নৃশংস ঘটনার দায়ভার জামাত-শিবিরের ঘাড়ে চাপানো হয়। উল্কার বেগে সে মেসেজ বিভিন্ন মিডিয়া হয়ে আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী সমর্থক দলের নেতা নেত্রীদের ভাষ্যে পরিণত হয়। গতকাল সারা দিনটা শাহবাগের আন্দোলন রাজীবের মৃত্যুর উপর দিয়ে চলেছে।
যে মেসেজে আন্দোলন শুরু হয় রাজিব হত্যাকান্ড তাতে দেয় ভিন্ন মাত্রা। আগের দিন আন্দোলনের সময় সূচী কমিয়ে করা হয় ৭ ঘন্টায়। উপায়ও ছিল না। কারণ দেশের ভেতর থেকেই শাহবাগের মূল দাবি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আন্দোলনে সরকারের প্রচ্ছন্ন ছায়া রয়েছে এটা নিশ্চয় কাউকে বলে বোঝানোর দরকার হবে না।
কিন্তু আওয়ামী ঘরানার লোক সুলতানা কামালের মত ব্যক্তি যখন- “জনমত থাকার কারণে শাহবাগ থেকে ফাঁসির দাবি জানানো হচ্ছে। যেকোনো বিচারে অসন্তুষ্ট হতে পারি, তবে তাতে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না,বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রবণতা ভালো নয় । ” বলে মত দেন তখন সরকারের টনক নড়ে।
Click This Link
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক বিবৃতিও সরকারকে ভাবিয়ে তোলে।
Click This Link
Click This Link
সেখানে রাজীব হত্যাকান্ড সরকারের হালে পানি পায়।
প্রধানমন্ত্রী ছুটে যান রাজীবের বাসায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,মতিয়া চোধুরীসহ সবার মুখে আগুনের ফুলঝুড়ি।
আসলে বিডিআর হত্যাকান্ড,শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী,কুইক রেন্টাল,সুরনজিতের কেলেঙ্কারী,ডঃ ইউনুছ ইস্যু,ইলিয়াস আলীর গুম,সাগর রুনি হত্যাকান্ড,বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড,অনিয়ন্ত্রিত ছাত্রলীগ,পদ্মা সেতু,তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন ইত্যাদি নানা ইস্যু থেকে সরকার পরিত্রাণ চাচ্ছে। সেখানে চাই একটা মজবুত ইস্যু। জামাত-শিবির এই মহুর্তের তরুপের তাস।
কিন্তু রাজীব কবরে শোবার আগেই মনে হচ্ছে সরকারের সে গুড়ে বালি। অবস্থা দৃশ্যে মনে হচ্ছে জামাত-শিবিরকে এ ইস্যুতে ফাঁসানো যাচ্ছে না। রাজীবের হত্যাকান্ড হতে পারে মেয়েলি অথবা স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দের ফসল। থানায় রাজীবের বাবার দায়েরকৃত মামলা থেকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। যেখানে ব্লগার কাম বান্ধবী তানজিলাকে সন্দেহ করা হয়েছে।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঐ ব্লগার কাম বান্ধবী তানজিলা, রাফি ও পলাশনগর প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সিকিউরিটি গার্ড আলমগীর হোসেনকে গোয়েন্দা হেফাজতে নিয়েছে।
httpwww.facebook.comphoto.phpfbid=331335856987972&set=a.205288616259364.45364.204480719673487&type=1&theater
তাহলে এর পর কি?দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দলটিকে ইস্যুর সন্ধান দিতে হবে না। ইস্যুর লটারি হাতে সরকার। যদি লাইগ্যা যায়! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।