আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোলন বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে আপনার জন্য

Right is right, even if everyone is against it; and wrong is wrong, even if everyone is for it

কোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩৮৮ সালে৷ ৬০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ জার্মানির বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম এটি৷ সব মিলে সাতটি অনুষদ নিয়ে গঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়৷ এই সাতটি অনুষদের মধ্যে আছে - অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক প্রশাসন অনুষদ, আইন অনুষদ, চিকিত্‌সা বিদ্যা অনুষদ, কলা অনুষদ, সাধারণ বিজ্ঞান এবং গণিত অনুষদ, শিক্ষাবিজ্ঞান অনুষদ এবং রিমেডিয়াল সাইন্সেস অনুষদ৷ কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত করা হয় সম্প্রচার অর্থনীতি ইনস্টিটিউট৷ এছাড়াও কয়েকটি গ্রাজুয়েট কলেজ এবং ইনস্টিটিউট কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷ এই সব গ্রাজুয়েট কলেজ এবং ইনস্টিটিউটগুলোতে আছে আরো ২৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ কোলন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং ডক্টরেট করার সুযোগ দিচ্ছে৷ শুধু বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ই নয় বরং সমাজবিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ে গবেষণার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সুনাম অর্জন করেছে৷ চলুন দেখা যাক কি কি বিষয় নিয়ে এখানে পড়া যেতে পারে৷ অর্থনীতি, রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রাণীবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ব, নৃবিজ্ঞান, ইউরোপীয় ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে পড়া যায়৷ বিভিন্ন ভাষার মধ্যে আছে জার্মান, ফরাসী, ল্যাটিন, ডাচ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষা৷ কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে জার্মান ভাষাটি অবশ্যই জানা থাকতে হবে৷ অবশ্যই আবেদনকারীকে গ্রাজুয়েট হতে হবে এবং তা যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই হোক না কেন৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে যে সব বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে তা হল, আবেদন পত্রে পরিস্কার করে লিখতে হবে কোন্ বিষয়টি আবেদনকারী পড়তে আগ্রহী৷ সঙ্গে দিতে হবে, পাসপোর্টের কপি, সব সার্টিফিকেটের কপি, বায়োডাটার একটি কপি, স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির টেস্টিমনিয়াল, কোন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বা শর্ট কোর্স করা থাকলে তার সার্টিফিকেট ইত্যাদি৷ প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টারের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারী এবং শীতকালীন সেমিস্টারের জন্য ১৫ জুলাই৷ বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সেমিস্টার শুরু হওয়ার অন্তত ৬ মাস আগে আবেদন পত্র জমা দিতে হয়৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বিষয় ইংরেজিতে পড়া যায়৷ সেটা জানার জন্য সেই সব অনুষদে যোগাযোগ করলে আপনারা সব তথ্য পাবেন৷ ডক্টরেট করতে হলে কি কি প্রয়োজন বা একজন প্রার্থী নিজেকে কিভাবে তৈরি করতে পারে৷ প্রথমে প্রার্থীকে তার প্রফেসর খুঁজে নিতে হবে৷ এরপর প্রফেসরকে যা যা কাগজপত্র পাঠাতে হবে তা হল: বায়োডাটার একটি কপি, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সার্টিফিকেটের কপি, রিসার্চ প্রপোজালের একটি কপি৷ প্রফেসর যদি সন্তুষ্ট হন তবে তিনি প্রার্থীকে একটি লেটার অফ অ্যাক্সেপটেন্স পাঠাবেন৷এসব করতে প্রফেসর কয়েক মাস সময় নিতে পারেন৷ কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বিষয় ইংরেজিতে পড়া যায়, গবেষণার জন্যও কিছু কিছু বিষয়ে মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষাটি ব্যবহার করা হয়৷ পালানী তাঁর ডক্টরেট প্রোগ্রাম পুরোটাই করেছেন ইংরেজিতে৷ পালানী জানান, এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রোগ্রাম এবং পৃথিবীর নানা দেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা আসছে এখানে ডক্টরেট করার জন্য৷ ভারত, চীন, পর্তুগাল, কানাডা, রাশিয়া, ক্রোয়েশিয়া এসব দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করছে, গবেষণা করছে৷ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য ডিএএডির সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে৷ কোলনের স্টুডেন্ট জবের ব্যবস্হা করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় সাহায্য করতে পারে৷ যারা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করবে তারা কাজ করার অনুমতি পাবে না৷ বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীরা সপ্তাহে ১০ ঘন্টার বেশি কাজ করার অনুমতি পাবে না৷ কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা: University of Cologne Albertus-Magnus Platz D- 50923 Cologne Germany

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।