নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দুর্গম কালামচরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু ইউনুস বাহিনীর প্রধান ইউনুস (৩৮) ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। এ সময় ছয় পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে গতকাল সকালে পুলিশ পুনরায় ওই এলাকায় অভিযান চালালে পুলিশের খবর পেয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে সুখচরের আলতাফ (৪০) নামে আরেক দস্যু মারা যায়। এ নিয়ে দুজন জলদস্যু নিহত হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
আহতরা হলো হাতিয়া থানার এসআই তানভীর, মঞ্জুর ও চার পুলিশ সিপাহি। অন্যদিকে এ ঘটনায় নিহত দস্যু ইউনুসের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৩), সহযোগী ইসমাইল হোসেনসহ (২২) আরও ৩/৪ জন আহত হয়েছে। পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গতকাল বিকালের অভিযানে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ২০ রাউন্ড গুলি ও ৫টি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ইউনুস ও আলতাফ ডাকাত গত কয়েক মাস ধরে বুড়িরচর ইউনিয়নেরর জলদস্যু সরদার এমরান ডাকাতের সঙ্গে থেকে ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খুরশেদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ কালামচরের দুর্গম এলাকায় অভিযান শুরু করলে বিষয়টি টের পেয়ে দস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় এবং বন্দুকযুদ্ধে ঘটনাস্থলেই দস্যু বাহিনী প্রধান ইউনুস নিহত হয়। এ ঘটনায় দুজন এসআইসহ ছয়জন পুলিশ ও দস্যুদের ৪-৫ জন আহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কালামচরের দুর্গম আস্তানায় পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানা যায়। পুলিশ ওই দুর্গম আস্তানাটি ঘেরাও করে রেখেছে বলে পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।