সাতক্ষীরার তালা উপজেলার এক ছাত্রদল নেতা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তার নাম আজহারুল ইসলাম শেখ। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে আজহারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তালা উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আজ উপজেলায় আধাবেলা হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। তালা থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, ইসলামকাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুর রউফ হত্যা, পুলিশ পেটানো ও গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ সাত মামলার আসামি আজহারকে রবিবার উপজেলার একটি চিংড়ি ঘের থেকে পুলিশ আটক করে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আজহার স্বীকার করেন তার আস্তানায় অস্ত্র আছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ভোরে তাকে নিয়ে তালা খেয়াঘাট এলাকায় তারই ঘেরের পাশে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সন্ত্রাসীরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে যৌথবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এ সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি ছোড়েন। পালিয়ে যাওয়ার সময় আজহার ক্রসফায়ারে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আজহার উপজেলার ঘোনা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তবে নিহতের মা আরিফা বেগম ও স্ত্রী চম্পা বেগম দাবি করেছেন, ছাত্রদল নেতা আজহারকে পুলিশ গ্রেফতারের এক দিন পর গুলি করে হত্যা করে। পরে ক্রসফায়ার নাটক সাজিয়েছে। তারা আরও দাবি করেন, রবিবার তালা উপজেলার মাগুরা খেয়াঘাট এলাকার পরানপুর মাছের ঘেরের বাসা থেকে আজহারসহ চারজনকে পুলিশ আটক করে। পরে তালা থানায় একটি বদ্ধ কক্ষে তাকে চেয়ারের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। আর বাকি তিনজনকে হাজতে পাঠিয়ে দেয়। তারা থানায় গেলে পুলিশ দাবি করে আজহার নামে কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ ঘটনার এক দিন পরে পুলিশ আজহারকে মাগুরা খেয়াঘাট এলাকায় মাছের ঘেরের পুব পাশে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এদিকে পুলিশ দাবি করেছে, বন্দুকযুদ্ধের সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি ও হাতবোমার স্প্লিন্টারে তালা থানার এসআই শাখাওয়াত হোসেন, কনস্টেবল তাজিবর ও শাহাবুদ্দীন মৃদু আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, পাঁচটি হাতবোমা ও দুই রাউন্ড কার্তুজের গুলি উদ্ধার করে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আজহারকে প্রাণ দিতে হলো।
মহেশপুরে দুই জামায়াত নেতা নিখোঁজ : এদিক আমাদের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে দুই জামায়াত নেতা নিখোঁজ হয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তারা হলেন, মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৪৮) এবং দলের রাজনৈতিক সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন মাস্টার (৬৭)। রবিবার বিকাল ৫টা থেকে দত্তনগর কৃষিফার্ম এলাকা থেকে তারা নিখোঁজ হন। মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল হাই জানান, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে দত্তনগর ফার্ম এলাকা থেকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে দুই জামায়াত নেতাকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী একটি দল। পরে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো খোঁজ দিতে পারেননি। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর ফার্ম এলাকা থেকে পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তিনি দুই জামায়াত নেতা নিখোঁজের কথা শুনেছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।