আবজাব বিষয়বস্তুর ব্লগ এটি। ভালো কিছু খুঁজে সময় নষ্ট করবেন না।
নাগরিক জীবনে সবাই ব্যস্ত। ব্যস্ততার মাঝেও চাই একটু অবসর। আর এই একটু অবসর কাটাতেই প্রাণের টানে ছুটে এসেছেন কিছু উদ্যোমী তরুণ।
স্থান : বলধা গার্ডেন
সময় : বিকাল ৪টা
কোলাহলে মূখরিত চারপাশ।
আশে-পাশে উৎসাহী দর্শকের কমতি নেই।
মূলতঃ একটা ঘরোয়া আড্ডার সম্প্রসারিত রূপ এটি। প্রথমে এটি পল্টনস্থ ব্লগারদের নিয়ে করার করার কথা ছিল। কিন্তু অন্যদের অতি উৎসাহের কারণে সেটা পল্টনস্থ থেকে হয়ে গেল সার্বজনিন।
মোজাম্মেল ভাইয়ের ডাকে অনেকেই সারা জাগিয়েছেন, সার্পোট দিয়েছেন, +ও দিয়েছেন। মাইনাসও যে পাননি তা নয়। অনেকেই আবার নেগেটিভ মনোভাবও দেখিয়েছেন। তা সত্বেও একটা সফল আড্ডার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ২৩ তারিখ সন্ধ্যায়। এস কে ফয়সাল আলম- যার সার্পোট অনেকদূর নিয়ে গেছে এই আড্ডাকে।
একে একে হাজির হয়েছেন মোজাম্মেল প্রধান, ফয়সাল, পিংকী, আমিনুল ইসলাম মামুন, ইয়াসিন, সালাহ্উদ্দীন আহমদ, আবদুল্লাহ আল মনসুর, পল্লব শাহরিয়ার.........।
ঘুরে দেখছেন সবাই গার্ডেনটি একনজর। এভাবে তো আর কোন দিন আসা হয়ে ওঠে না। আজ একটু অবসর পাওয়া গেছে!
গাছে লটকানো সামহয়্যারইন ব্লগের লগো সম্বলিত ব্যানারটি সবাইকে জেনে দিচ্ছে এখানে কোন কিছু একটা হচ্ছে।
এরই মাঝে হাজির হলেন সুনীল সমুদ্র, স্বাধীন সুমন ৮৪, ১৯৭১ স্বাধীনতা, বাংলাদেশ ফয়সালসহ আরো অনেকে।
অবস্থা দেখেই মনে হচ্ছিল, এবার আড্ডাতে জমবে মজা। এবং হলোও তাই।
সুনীল সমুদ্র- বললেন অন্য আড্ডাগুলোতে কোন সূচি থাকে না। আপনাদেরটাও কি সেরকম?
তা কেমন করে হয়?
একে একে সবাই কথা বলবে। অন্যরা শুনবো।
কথার ফাঁকে ফাঁকে গল্পগ-গুজব হবে। হবে একে অপরের সাথে পরিচয়। এটাই না আড্ডার বাস্তবরূপ।
সুনীল দা, বাংলাদেশ ফয়সাল, আবদুল্লাহ আল মনসুরের পূর্বের আড্ডা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা আমাদের অনভিজ্ঞ ব্লগারদের মনে আরো নবউদ্যোমে প্রাণ সঞ্চার করে দিচ্ছে।
একে একে সবাই কথা বলছে।
নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলেও মাঝে মাঝে কথার মাঝে অন্য ব্লগারদের কথা যেন আরো নতুন কথামালার জন্ম দিচ্ছে।
এই আড্ডার মূল আকর্ষণ ছিল- গেইম শো বেলুন ফুলে তা ফাটানো। ব্লগারদের বেলুন ফোলানো আর ফাটানোর সেকি প্রানান্তকর চেষ্টা। একে একে মনসুর ভাই ১০টা বেলুন ফাঁটিয়ে ফার্স্ট প্রাইজ হাতিয়ে নিলেন। আরো পুরস্কার পেলেন মামুন এবং ফয়সাল।
এসময় সবুজ এই গার্ডেনের যেন সব দর্শকই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল এই গেইম শো উপভোগে।
একটুপর সূর্যটা বিদায় নিয়ে যেন আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে, আড্ডার মুহূর্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিদায় নিতে হবে।
কিন্তু বিদায় কি আর এত সহজে নেওয়া যায়। গার্ডেন থেকে বের হয়ে রোস্তারাঁতেও আড্ডায় মুখরিত হলাম আমরা।
তারপরও যেন এই সুখস্মৃতি ফুরাতে চায় না। অনেকেই বিদায় নিয়েও আবার গল্পে মশগুল হয়ে পড়ছিলাম। যেন কতদিনের কথা মনে জমা আছে সবার! মনের জমানো কথা সব তো আর একদিনে বলে ফেলা সম্ভব নয়। তাই বিদায় নিতেই হলো সকলকে!
আবার দেখা হবে, হয়তো এরকম কোন আড্ডাতে! বিদায়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।