ব্লগে আমার আগমন এ বছরের শুরুর দিকে। এক বন্ধুর পরামর্শে সামুতে ঢুকলাম। বাংলায় লিখা দেখেই খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম প্রথম দিকে। তবে ইচ্ছা থাকলেও প্রতিদিন ব্লগে ঢুকা হতো না। আর ঢুকলেই একটার পর একটা ব্লগ পড়তাম।
এখনো পড়ি। নিজে ব্লগ লিখার সময়ই করতে পারিনা। তাই আমি যতটানা ব্লগার তার চেয়ে বেশী রিডার। যাই হোক, আজ জুবায়ের ভাইয়ের লিখা "বিশ্ব বিবেককে কাপিয়েছিল যে ছবি" পড়ে হালকা ধাক্কার মতো খাইছি। ভিয়েতনাম যুদ্ধের ব্যাপারে আমি খুব কমই জানতাম।
আজ এই লিখা পড়ে আমি স্তব্ভিত হয়ে গেছি। উপলব্ধি করছি পৃথিবীর সবখানেই যুদ্ধের একই রূপ। সেই নৃশ্বংসতা, গনহত্যা, পাশবিকতা। কিছু প্রশ্ন জেগেছে মনে-
এই যে আমরা আজ গনহত্যা বা নৃশ্বংসতার বিরুদ্ধে কথা বলছি, সারা জীবন কি এভাবে চিন্তা করতে পারব?????
একজন সৈনিক যে বুলেটের আঘাতে অগনিত প্রান কেড়ে নিয়েছে, সে নিশ্চই সৈনিক হওয়ার আগে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করার কথা কল্পনাও করতে পারেনি।
একজন সরকার প্রধান যার আদেশে গনহত্যা সংঘঠিত হচ্ছে, সেও নিশ্চই একসময় সাধারন মানুষই ছিল।
মানবতার পক্ষে ছিল যার অবস্থান। তাহলে???
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠন গুলোকে দেখেছি। একই বর্ষে পড়া এক সহপাঠীর ওপর আরেকজনের হুংকার দিয়ে লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখেছি। এসব ছাত্ররাও তো মানবতার পক্ষে কথা বলেছে বা বলে!!!!!!!!!!
আমার মনে হয় আমাদের জীবনে আসলে কোন আদর্শ নেই। তাই সময়ের পরিবর্তনে নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আমরা বিভিন্ন রুপ ধারন করি।
বিশ্ববিবেককে কাঁপিয়েছিল যে ছবি
দয়া করে জুবায়ের ভাইয়ের লিখাটা পড়ুন। এক কথায় অসাধারন!!! হইছে।
জুবায়ের ভাইয়ের অনুমতি না নিয়েই তার লিখার লিংক দিয়ে দিলাম।
ভুল হলে ক্ষমা করবেন ভাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।