যযতই জানিবে ততই অবাক হইবে.. আজ সকালে রাজীবের বাসা থেকে বের হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক দের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ খুনের কারন দেশবাসিকে জানালেন ?...." জামাত শিবির এর রাজনীতি রূপ নিয়েছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে । খুন অরাজকতা সৃষ্টি-ই তাদের লক্ষ । ৭১ এর পর তাদের রাজনীতি-কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে ১৯৭৬-এ তাদের পুনরায় রাজনিতীতে আনা হয়।
তবে এখন আর তাদের রাজনীতি কারতে দেয়া হবে না।
অন্তত আমি বেঁচে থাকতে তাদের রাজনীতি বন্ধ করেই যাবো "
এক যুধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশটায় সব হ য ব র ল হয়ে গেলো ?
২০১৩/১৯৭১ এর রেডিও শুনছেন মনে করুন:
"মাতৃভুমি বাংলায় স্বধীনতা বিরোধি এক অন্ধ শক্তির আগ্রসন বেরই চলেছে। আজ এক তরূন ব্লগার-কে নিজ বাড়ির সামনে পিশাচ ঘাতকেরা জবাই করে হত্যা করেছে। শহিদ রাজীবকে নৃশংস হত্যার পর হানাদারেরা রক্ত মাখা চাপাতি ছুড়ি ফেলে গেছে। এদিকে আমাদের গোপন সংবাদ দাতা ক্ক্স বাজার থেকে জানিয়েছেন ৫ জন স্বাধীনতা বিরোধি শক্তি/ পাকিষ্তানি /ছাগু/ হানাদার /রোহিঙা বা শিবির-কে গুলি করে খতম করেছে মুক্তি বাহিনী। সেখানে এখন ১৪৪ ধারা জাড়ি করা হয়েছে।
আজকের হরতালে সেখানে এখন থমতমে পরিস্হিতি। সোমবারে সারা দেশে হরতাল ডেকেছে হানাদারে-রা। এদিকে জনতার মঞ্চে তরূন আন্দোলনকারীরা ঘোষনা দিয়াছেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে পিশাচদের "
প্রকৃত সংগ্রামি ভাইয়েরা আমার----- একটু চিন্তা করি। আজ আমরা যখন জ্বলে উঠেছি তারূন্যের দিপ্ততায়। সকল অবিচারের অতিষ্ঠ জনতা যখন সঠিক বিচারের দাবিতে একাগ্রতা প্রকাশ করেছে তখন আমাদের মুক্তির এ-কোন পথে আমাদের হাতছানি দেয়া হচ্ছে?
যখন বিশ্ব দরবারে আমরা উন্নতির সমান গতিতে এগোচ্ছি ঠিক তখন এ কোন স্ব-হিংসা আমাদের গ্রাস করছে?
কোন হানাদার আমাদের মাবোন কে আবার রেপ করলো?
কে-ই বা মায়ের কোল খালি করলো ? আমরা নিজেরাই কি নিজেদের প্রধান শত্র হতে যাচ্ছি না? ধর্মের নাম ব্যবহার করে, তার সাথে বিভিন্ন মহলের উষ্কানি মিশিয়ে কে আজ আমাদের দুটি ভাগে ভাগ করে দিচ্ছে ?
ঠিক যেমন ভাবে ব্রিটিসরা খুঁজে পেয়েছিলো এ উপমাহাদেশের দূর্বোল দিক হচ্ছে জাত ও ধর্ম , তমনি আমাদের ডান বাম -কে দুটি দলে ফেলে দিয়ে ফায়দা নিচ্ছে কে??
আজব আমাদের এই আবেগের তারনা।
একজন প্রধানমন্ত্রী কি করে গনমাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দলকে এভাবে দায়ী করে ফেললেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও একই ভাবে বলে গেলেন। হাসি পাচ্ছে এটা ভেবে যে আজকাল পোষ্টমোর্টাম রিপোর্ট, স্বাক্ষী প্রমান ছাড়াও খুনি আন্দাজ করা সম্ভব.....
বাকিটা আমি বলে দিচ্ছি ।
এগুলো হবে পরবর্তি নির্বাচনী অন্গীকার---
** জামাত শিবির কে রাজনৈতিক দল হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হবে।
** যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নি্শ্চিত ভাবে করা হবে।
এই কারনে আমি আরও দৃড়তার সংগে বলছি , আজকের এই তরূন সমাজ যে দাবি নিয়ে শাহবাগে একত্রিত হয়েছেন তা ঝুলিয়ে রাখা হবে । কারন এদুটি ইস্যু সম্পূর্নভাবে আগামি নির্বাচনে বিশেষ ভাবে প্রাধান্য পাবে। এবং আমরা আবেগ প্রবোন জাতি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সরাসরি ধর্মে কর্মে আঘাত না এনে আমরা কি বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বধীনতা,দূর্নীতি মুক্ত প্রশাসনের দাবি জড়ালো ভাবে করতে পারি না?? এতে করে সাপ ও মরবে লাঠি ও ভাংবে না ।
এখন-ও কি সবাই একসাথে বলে উঠবেন আমি রাজাকার ,ছাগু, শিবির ।
। শিষ্টজনরা তো এখন ভয়ে-ও মুখ খুলবেন না। কে জানে ঐ শিবিরের হিটলিষ্ট টায় যদি আমার নামটা-ও চলে আসে?? আমি কিছুতেই ভয় পাচ্ছি না...কারন...
আমাকে আপনারা কি বলবেন? ? আওয়ামিলীগ ?? বি এন পি ?? শিবির ?? যা মন চায় বলেন ....আমি সচেতন বাংলাদেশি । এটাই আমার পরিচয় ।
----------------------------------------------চলবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।