যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এমন বিশ্ব মেনে নিতে পারি না যেখানে নারী, শিশু ও নিষ্পাপ মানুষ ভয়ানক মাত্রায় বিষাক্ত গ্যাসের শিকার হবে। ”
তিনি বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ‘সীমিত’ আকারে সামরিক অভিযানের প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সিরিয়ায় ব্যাপক আকারে হামলা চালানো বা সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সৈন্য নামানো হবে না বলেও জানান তিনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, এ রাসায়নিক হামলার পর সিরিয়াকে ছেড়ে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, এ হামলার জবাব দিতে মিত্র দেশগুলো বিশেষ করে ‘আমাদের দীর্ঘ দিনের’ মিত্র ফ্রান্সের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
“একজন স্বৈরশাসকের গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে আমরা যদি চোখ বন্ধ করে থাকি তাহলে ইতিহাস অত্যন্ত কঠোরভাবে আমাদের সবার বিচার করবে”, পররাষ্ট্র দপ্তরে এক বিবৃতিতে বলেন কেরি। তার এই বক্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
কেরি বলেন, “বাশার আল-আসাদের মতো একজন গুণ্ডা ও খুনি যদি হাজারো মানুষকে বিষাক্ত গ্যাস মেরে পার পেয়ে যায় তাহলে তা ইরান, হিজবুল্লাহ ও উত্তর কোরিয়ার মতো যারা রয়েছে তাদের জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি করবে। ”
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে কেরি বলেন, আসাদের অনুগত বাহিনী যে রাসায়নিক হামলা চালিয়ে সে বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত ২১ অগাস্ট সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় ৪২৬ জন শিশুসহ মোট এক হাজার চারশ’ ২৯ জন নিহত হয়েছে।
আগের দিন যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে সিরিয়ায় সামরিক হামলা না চালানোর পক্ষে রায় এলেও শুক্রবার ফ্রান্স বলেছে, বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে তারা সমর্থন দেবে।
এদিকে আসাদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক সহযোগী বলেন, যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের ভোটে যু্ক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আসাদবিরোধী কোনো সামরিক অভিযান পরবর্তী ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপের আশঙ্কার প্রতিফলন ঘটেছে।
আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথম থেকেই রাসায়নিক হামলার দায় অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের জন্য উস্কানি দিতে বিদ্রোহীরা এটা করে থাকতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।