আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসায়নিক হামলা: আসাদকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

এক বিবৃতিতে এই রাসায়নিক হামলাকে ‘নীতিভ্রষ্টতা’ বলে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ২১ অগাস্টের ওই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ খেকে জানানো সবচেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়ায় কেরি বলেছেন, “বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণ্য অস্ত্র যারা ব্যবহার করেছে তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার মুখোমুখি হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট (বারাক) ওবামা। ” এই রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় কীভাবে সাড়া দেয়া যায় তা নিয়ে ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন বলে জানিয়েছেন কেরি। “গত সপ্তাহে সিরিয়ায় আমরা যা দেখলাম তা বিশ্ববিবেককে মর্মাহত করেছে,” বলেন কেরি। “বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচার হত্যা, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে নারী, শিশু ও পথে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ পথচারীদের হত্যা নীতিভ্রষ্টতা।

যে কোন বিচারে এটি ক্ষমার অযোগ্য। কেউ এটা করেছে, এ ধরনের অজুহাত ও বাকচাতুরী সত্ত্বেও এই হামলার ঘটনা অস্বীকার করার মতো নয়,” বলেন তিনি। সোমবার রাসায়নিক হামলার স্থলে তদন্তের জন্য যাওয়ার পথে জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের ওপর দূরলক্ষ্যভেদী গুলিবর্ষণ করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। এর পরপরই এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেছেন, “সিরিয়ার সরকার শাস্তির যোগ্য অপরাধ করেছে এ বিষয়ে আমাদের মনে তেমন সন্দেহ নেই। ” নিজে দেশের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার কথা অস্বীকার করে বিদ্রোহীদের ওপর এর দায় চাপিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ।

আসাদকে ‘শাস্তি’ দেয়ার সম্ভাবনার মধ্যে জর্দানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান ইউরোপীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশগুলোর সেনাপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বুধবার ভোররাতে দামেস্কের শহরতলীর অন্তত চারটি এলাকায় বিষাক্ত গ্যাস হামলা চালানো হয়। এই হামলায় কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে কুর্দিদের ওপর ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের চালানো রাসায়নিক গ্যাস হামলায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। ওই হামলার পর দামেস্কের উপকণ্ঠে চালানো এই রাসায়নিক গ্যাস হামলাকেই সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

রাজধানী দামেস্ক থেকে জাতিসংঘ তদন্ত দল বের হয়ে লড়াই স্থলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তাদের গাড়িবহরে দূরলক্ষ্যভেদী গুলিবর্ষণ করা হয়। যে এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয় তা আসাদ বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা। গ্যাস আক্রান্ত চারটি এলাকার মধ্যে মৌয়াদামিয়া আবাসিক এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল তদন্ত দল। তদন্ত দলের ওপর এ হামলার জন্য “সন্ত্রাসীদের” দোষারোপ করেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, আর বিদ্রোহীরা আসাদ সমর্থিত বেসামরিক বাহিনীকে দায়ী করেছে। মৌয়াদামিয়া এলাকা থেকে আবু কারাম নামে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি তদন্ত দলের সঙ্গে আছেন।

তদন্তকারীরা স্থানীয় রওদা মসজিদে গ্যাস হামলায় আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং তাদের দেহ থেকে গ্যাস হামলার নমুনা সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকারবিরোধী মৌয়াদামিয়া এলাকার স্থানীয় সরকার পরিষদ ও ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’র সদস্যরা জাতিসংঘের তদন্তকারীদের সঙ্গে আছেন বলে জানিয়েছেন সরকারবিরোধী আন্দোলনকারী ওয়াসিম আল আহমদ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.