সময় হয়েছে আজ আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠার; দৃপ্ত শপথ করে সম্মুখে পা ফেলে ছুটে চলার চিরন্তন সত্য ও সুন্দরের পথে......
ব্লগার নিলআকাশেরদুঃখ এর জন্মদিন আজ। জন্মদিন প্রত্যেকের জন্যই আনন্দের দিন। কিন্তু এমন একটা সময়ে ওনার এই শুভ দিনটি আবার এলো যখন ওনার মা মৃত্যুর সাথে লড়ছে। ওনার মায়ের দু'টো কিডনিই বিকল! সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। এই মুহূর্তে তিনি ভারতে চিকিৎসাধীন।
সম্ভবত আগামী পঁচিশ তারিখ ওনার কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হবে। নিলআকাশেরদুঃখ নিজেই কিডনি দাতা। মা'কে বাঁচানোর জন্য সে কি প্রাণান্তকর চেষ্টা!!! মানুষটার মধ্যে জেতার একটা তীব্র নেশা আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো এই চরম দুর্দিনে ওনার কাছের মানুষ তথা আত্মীয়-স্বজনেরা খুব একটা এগিয়ে আসেনি! এমনকি মেন্টাল সাপোর্টও দেয়নি! সেজন্যই হয়তো মা'কে বাঁচিয়ে তোলার জন্য মরিয়া হয়ে সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে ভারত থেকে এসে সব কাগজপত্র ওকে করে আবার যখন ভারতে চলে যান তথন ওনার সাথে আমি দেখা করেছিলাম।
গ্রীনলাইন বাস কাউন্টারে আমি ওনাকে সিঅফ করতে যাই। অত্যন্ত তাগড়া এক যুবাপুরুষ। তেইশ বছর বয়স্ক সেই নওজোয়ানকে কিছুটা বিষণ্ন লাগছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না যে মায়ের দুঃখবোধে ভারাক্রান্ত তিনি। মেডিকালের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
মাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে পড়াশোনাটা শিঁকেয়ে উঠছে। অবশ্য মা সুস্থ হলে পুষিয়ে নেয়ার প্রতিজ্ঞা আছে।
কাউকে নিজের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ দিয়ে দেয়া খুব কঠিন এক সিদ্ধান্ত। সেটা নিজের মা হলেও। সেরকমই একটা কঠিন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন তিনি।
এই ত্যাগী মানুষটির জন্মদিন আজ।
শুভ জন্মদিন নিলআকাশেরদুঃখ। প্রার্থনা করি মা ও ছেলে দু'জনই সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।