সৃজনশীল সাহিত্যের শৈল্পিক প্রয়াসে নিমগ্ন একজন প্রকাশক
মাওলানা শব্দটি আমাদের দেশে যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে। গায়ে আলখাল্লা চড়িয়ে, মাথায় আমামা বেঁধে এবং দাড়িতে খেজাব দিলেই সাধারণ মানুষ তাকে হুজুর,মাওলানা ডাকতে শুরু করে। আর কেউ না ডাকলে তল্পিবাহকেরা লোক চক্ষুর সম্মুখে হুজুর বলে পরিচিতি এনে পরে হুজুর খানায় জিকির আজকারের শান তুলে আসন পোক্ত করে দেয়ে। আর এই তথাকথিত হুজুর মাওলানাদের খপ্পড়ে পরে কিছু লোক সংসারে হাঁড়ির চাল বাড়ন্ত করে ফেলে।
মাওলানা শব্দটি দুটি আরবি শব্দ দ্বারা সন্ধিযুক্ত।
সন্ধিবিচ্ছেদ করলে এ থেকে দুটি আরবি শব্দ বের হয়। একটি মাওলা আর অন্যটি আনা। মাওলা শব্দের অর্থ অভিভাবক, যা একমাত্র আল্লাহকে বোঝানো হয়েছে। কুরআনে আল ইমরান সুরার ১৫০ আয়াতে আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে মাওলা শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আর আনা শব্দের অর্থ হলো আমি।
অর্থাৎ মাওলানা মানে আমিই অভিভাবক। এই মাওলানা শব্দটি সুরা বাকারার শেষ আয়াতেও (২৮৬) এভাবে ব্যক্ত হয়েছে- আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কওমীন কাদেরীন- অর্থাৎ তুমিই আমাদের অভিভাবক,অতএব কাফের জাতির বিরুদ্ধে তুমি আমাদের সাহায্য করো। এই তুমি আর কেউ নয় একমাত্র আল্লাহতালা।
অনেকে মাওলানা পদবির পূর্বে হযরত ব্যবহার করেন। হযরতও আরবি শব্দ।
যার অর্থ ইয়োর হাইসেন। বাংলাদেশে এই হযরত মাওলানা প্রায়ই অলি গলিতে খুঁজে পাওয়া যাবে এবং এদরে অনেকে শব্দটির অর্থ না জেনেই ব্যবহার করছেন হয়তো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমিই অভিভাবক যদি কুরআনের ভাষায় আল্লাহকে বোঝানো হয় তাহলে মানুষের এই মাওলানা পদবি ব্যবহার কি আল্লাহর সাথে শেরেক হয়ে যাচ্ছে না?
তুর্কি পন্ডিত আহমেদ হুলুসি বলেছেন- Allah is not a God কারণ God এর বহুবচন আছে যেমন Gods কিন্তু Allah এর কোন বহুবচন নেই। তাই আল্লাহকে যদি God এর সাথে তুলনা করা মানে বহু ইশ্বরবাদী (শেরেক) হয়ে যাওয়া। কুরআন বলেছে আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু শেরেকির জন্য মাফ করবেন না।
তাহলে যারা নিজেরাই আল্লাহর সাথে শেরেক করছে,তারাই আবার ইসলামের বাণী শোনায়, আমল ও ইমানের নসিহত করে আর আমরা বোকার দল দোজাহানের অশেষ নেকী হাশিলের জন্য দলে দলে যোগদানও করছি। কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।