^^^^^^^^^
হালদা, বাংলাদেশের মিঠাপানির কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের অসংখ্য নদ-নদীর মাঝে হালদা পরিচিত। বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির কার্পজাতীয় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র এই নদী। পাহাড়ী স্রোত, নিয়মিত জোয়ার-ভাটা আর অসংখ্য বাঁক এই নদীকে মাছের প্রজননের জন্য আদর্শ জায়গা হিসেবে গড়ে তুলেছে। প্রতিবছর বর্ষায় এই নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকে।
প্রতি বর্ষার একটি বিশেষ মুহুর্তে বিশেষ পরিবেশে হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ে, এ নির্দিস্ট সময়কে তিথি বলা হয়। তিথির আগে স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা দল বেঁধে নৌকা নিয়ে নদীর বাঁকে অবস্থান নেয়। ডিম সংগ্রহ করে তারা বিভিন্ন হ্যাচারীতে সরবরাহ করেন।
পার্বত্য চট্রগ্রামের খাগড়াছড়ির বদনাতলী পাহাড় হতে উৎপন্ন হয়ে এটি ফটিকছড়ির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেছে। ফটিফছড়ির বিবিরহাট, নাজিরহাট হয়ে হাটহাজারী, রাউজান, কোতোয়ালী থানা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কালুরঘাটের কাছে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিশেছে।
অসংখ্য খাল, ছড়া হালদা নদীর সাথে মিশেছে। রাউজানের সর্তারঘাট এলাকায় পাহাড়ি সর্ত্তা নদী হালদার সাথে মিশেছে। হালদার মোট দৈর্ঘ্য ৮১ কিলোমিটার, যার মধ্যে ২৯ কিলোমিটার অংশ সারা বছর বড় নৌকা চলাচলের উপযোগী থাকে।
হালদার পোনা খুব উন্নতমানের হয় তাই এর চাহিদাও থাকে বেশি, সে সুযোগে সাধারণ হ্যাচারির পোনাও হয়ে যায় হালদা নদীর মা মাছের পোনা।
এবার হালদা নিয়ে একটি কৌতুক বলি-
এক লোক মাছের পোনা ওয়ালার কাছ থেকে পোনা কিনবেন.....
> ভাই এগুলো কি হালদার পোনা।
>>১০০% গ্যারান্টি সহ দেব, এগুলো হালদার পোনা।
> কিন্তু আমি যে দেখলাম তুমি হ্যাচারি থেকে পোনা নিয়ে বেরুচ্ছিলে...
>> আরে বদ্দা আমি কি মিথ্যে বলেছি, ঐ হ্যাচারির নামও যে হালদা
সর্তারঘাট সেতু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।