যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
Kisui Bhulini Ami
কিছুই ভূলিনি আমি
শরীফ এ. কাফী
কামালপ্রতাপ, নড়াইল
২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮
১৯৮৮’র বন্যায় একটি মেডিক্যাল টিম নিয়ে নড়াইলের বন্যা উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলাম। ৭ দিনের কাজের মাঝে এক দিন মূষল ধারে বৃষ্টির জন্য কোন কাজ করতে পারিনি। বৃষ্টি ভেজা সে দিন নারকেল আর মুড়ি থেতে থেতে স্বৃতির জানালায় উকি দিয়ে যা পেয়েছিলাম তা আপনাদের পরিবেশন করলাম।
কিছুই ভূলিনি আমি
শরীফ এ. কাফী
১
চপলা হরিণ চঞ্চল কিশোরীর
পেয়ারা গাছে লুকিয়ে থাকা
অদৃশ্য ভাইকে জোরে জোরে ডাকা
জ্বলজ্যান্ত দুপুরে আমাকে না দেখা
শুণ্য ডালে পাকা না হোক ডাসা
পেয়ারার খোজে প্রলম্বিত হাতে
বেলোয়াড়ী চুড়ির কিঙকন তুলে
নাচের মূদ্রায় কত কি ইশারা।
ভেতরে লুকানো হৃদয়ের ভাষা
বুদ্ধিতে অন্ধ বেহৃদয় যুবক
কিছুতে বোঝে না কেন যে বোঝেনা
নিরাশা মুছে মুছে কিশোরীর
আশার হরপ সাজিয়ে যাওয়া
কাটে এভাবে দিনের পর দিন
প্রেমের অপাত্র অর্বাচীন সেদিন
কিছুই ভূলিনি আমি।
২
খালের ধারে মাছ ধরতে বসা
এলোকেশী ষোড়শীর আমাকে না দেখা
আবার কাউকে শুনিয়ে বলা
“আমার বড়শী ধলা কালা
আখের রসে চম্পা কলা
টপ করে গিলে ফেলা”
না সে আমাকে বলে নি
নিজেও জানে না কাকে বলা।
কিন্তু আমি জানি প্রতি দিনের ঘটনা
খালের ধারে পথের পাশে
প্রতি দিন মাছ ধরতে বসা
কঠিন মাছ বড়শী গেলে না
তবুও ষোড়শীর বিরক্তিহীন
কাটে এভাবে দিনের পর দিন
প্রেমের অপাত্র অর্বাচীন সেদিন
কিছুই ভূলিনি আমি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।