আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে হলুদের ঔষধী কার্যকারীতা

ড. নাজমা শাহীন

হলুদ মশলা জাতীয় খাবার যা বাংগালী রান্নায় প্রতিদিন ব্যবহার করা হয়। অথচ আমরা অল্পই এর গুনাগুন নিয়ে মাথা ঘামাই। অনেকেই মনে করতে পারেন খাবারকে আর্কষনীয় করার জন্যই বুঝি এর রঙের প্রয়োজন। নিবিড় পর্যবেক্ষন ও গবেষনায় হলুদের অসংখ্য স্বাস্থ্য-উপকারী ঔষধী কার্যকারীতা পাওয়া গেছে। অনেকেই আমরা জানি হলুদ এ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে।

যুগ যুগ ধরে গ্রামীন বাংলা ছাড়াও দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটি একটি প্রদাহ-নাশক ঔষধী হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কাটা, ছেড়া কিংবা আগুনে পোড়া ক্ষত সারাবার জন্য হলুদের প্রলেপ ব্যবহার করা হয়। এটা হলো হলুদের জিবানুনাশক (এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল) ও প্রদাহনাশক (এন্টিইনফ্লেমেটরী) ভূমিকা। এছাড়াও হলুদের আরো অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমরা রন্ধন প্রক্রিয়ায় হলুদ ব্যবহার করি মূলত খাবারের মধ্যেকার জীবানুগুলোকে ধ্বংশ করার জন্য।

কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষেনায় দেখা গেছে হলুদে 'কারকিউমিন' নামক একটি বায়ো-এক্টিভ যৌগ আছে, যা অগ্নাশয়ের(পেনক্রিয়েটিক) ক্যান্সার, আলজাইমার রোগ, কলোরেক্টাল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। এছাড়া ফুলকপির সাথে হলুদ একত্রিত হয়ে প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং যদি কেউ প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তাহলে সেক্ষেত্রে ক্যান্সারের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ করে। গবেষনায় আরো দেখা গেছে শৈশবকালীন লিউকোমিয়া কমাতে এটা সহায়তা করে। অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারী ভূমিকার পাশাপাশি হলুদ এমন একটি ঔষধী মশলা যা লিভারের বিষক্রিয়া প্রতিহত করায় সবচেয়ে কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.