আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শকুন



অনেকক্ষন থেকে তহমিনা বেগম একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মুরগীটার দিকে। শকুনটা আবার বড় কড়ই গাছটাতে গিয়ে বসেছে। প্রতিবার যখন শকুনটা মুরগী ছানার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে ঝাপিয়ে পরে তখন মুরগীটা প্রাণ বাজী রেখে প্রতিরোধ করে শকুনটার। এই নিয়ে দুইবার শকুনটার থাবা থেকে বাচ্চাদের বাচাতে পেরেছে মুরগীটা। মনের মধ্যে অজান্তেই প্রশ্ন আসে তহমিনা বেগমের।

৩য় বার কি বাচ্চাগুলোকে বাচাতে পারবে মুরগীটা? আজকে বিকালে এমন একটা শকুন থাবার হাত থেকে বাচতে হবে তহমিনা বেগম কে। গতকাল বিকালে সামান্য কারনে ঝগড়া হয়েছিল তার আমেনার বাপের সাথে (তহমিনা বেগমের স্বামী)। কারনটা সামান্যই। পান আনতে বলেছিল তহমিনা বেগম। পান আনে নাই।

এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাগের মাথায় মানুষটা ‘তরে তালাক দিলাম’ বলে ফেলছে। অনেকদিন থেকেই মনটা খারাপ লোকটার। একটা ব্যবসা ধরতে চাইছিল, ধরতে পারে নাই। তারউপর লোকটার রাগ বেশি। ১৪ বছর ধইরা সংসার করতাছে তহমিনা বেগম।

এতদিন রাগী লোকটারে সামাল দিছে আর সামান্য পানে আজ তার শকুনের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। বিকালে সালিশ বসব। সালিশের লোকজনকে চেনা আছে তহমিনা বেগমে। অনেকদিন থেকেই জলিল শেখ তারে কু-প্রস্তাব দিয়া আসতেছিল। তহমিনা বেগম রাজী হয় নাই।

এই সালিশের আয়োজনটাও সে-ই করছে। ওবাড়ির করিমনের দাদিরে নাকি কইছেও ‘তহমিনার সমস্যা নাই। আমি ওরে হিল্লা বিয়া করুম। রাজরানীর মত রাখুম। ’ ৩য় বারের মত শকুনটা মুরগী ছানার দিকে এগিয়ে আসতে দেখল তহমিনা বেগম।

হাতের কাছে থাকা লাঠিটা নিয়ে যোগ দিল মুরগীটার সাথে শকুন তাড়াতে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।