ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো
আপোষহীন নেত্রী বলিয়াছিলেন "পাগল আর শিশু ছাড়া কেহই নিরপেক্ষ নহে"। মাইনে সক্কলেই হয় লীগার, জামাতী বা জাতীয়তাবাদী। বাহ! মোক্ষম বলিয়াছিলেন সেকালে। কালজয়ী কথা। ১৫/২০ বৎছর পর ম্যাডাম গত হইলে( আল্লাহ না করুক), তারেক জামানাতে হয়ত এই বাণীখানি বিটিভির রাত ৮টার বাংলা সংবাদের আগে প্রচারিত হইবে।
লাইনের নিচে ড্যাশ দিয়া লিখা থাকিবে খালেদা জিয়া।
১। মার্কেন্টাইল বাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, ট্রাম্পকার্ড জলীলকে নিয়া দেশে বেশ রগড় হইয়া গেল। আমাদের দেশের কর্তাবাবুরা ঘন্টাব্যাপী মিটিং কইরা বাহির করিয়াছে... তাদের সাবেক বকরবকর মেশীনের "মানসিক ভারসাম্য" কোন দিকে জানি হেইলা রহিয়াছে। তবে এদ্দিন যাবত উনার কথা মন দিয়া শুনার ও শুনাইবার পর দেশজ সংবাদ মাধ্যম ও রাজনৈতিক মহানেরা হঠাৎ ক্যানো তাহার "মানসিক ভারসাম্য" নিয়া ঝুকিয়া পড়িলেন, তাহা বোধগম্য নয়।
তবে দেশের সেরা মাথাগুলান (রাজপরিষদ নিয়া কথা হইতেছে জনাব, সেরা না বলিলে দেশদ্রোহীতা হইবেক!) যেহেতু ব্যাপক গবেষনা করিয়া জলীল সাহেবের মানসিক ভারসাম্যহীনতার সিদ্ধান্তে পৌছাইয়াছেন... তাহা মানিয়া নিতে বাধা নাই। তবে পরবর্তী সভায় রাজ পরিষদে ডাক্তার-কবরেজ শ্রেণীর কেউ থাকিলে এই নাদান আরেকটু কনফিডেন্স পাইত।
তবে ছা-পোষা গবেষক হিসাবে আমিও একখানা মন্তব্য করিতে চাই, "জলীল সাহেব মানসিক ভারসাম্যহীন হইলে প্রধানমন্ত্রীপুত্র "সবেধন নীলমনি যুব্রাজ" জয়েরো ভারসাম্যের অবস্থা সেরম সুবিধার নহে"। যে কথা বলিয়া জলীল বুড়ো "মানসিক ভারসাম্যহীন" হইল সেই কথাইতো Harvard International Review এ লিখিয়াছিলেন সজীব জয়। পড়িয়া আসুন লিঙ্কে Click This Link
লেখক নিজের পরিচিতি দিয়াছে এইভাবে " Sajeeb A. Wazed is an adviser to Sheikh Hasina...He has been a key negotiator for the Awami League on several occasions, most recently in the negotiations for the restoration of democracy in Bangladesh with the present military government."
এর তরজামায় বলা যায় "বর্তমানে গনতন্ত্রের যে সুবাতাস রাষ্ট্রযন্ত্রের অলিতে গলিতে প্রবাহিত হইতেছে, তাহা একখানা নেগসিয়েশনের ফলাফল... মাইনে একটা ডিল হইয়াছিল... টেবিলের একপাশে বিগত আধাখেচড়া সামরিক সরকার... অপরপ্রান্তে গনতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী ও ত্রাতা সজীব খিলজী জয়... আর যথারীতি টেবিলের নিচে ছিল বাংলাদেশ"
মশায়, ভুল বুঝিবেন না, রাজসভার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করি নাই।
কেবল যুবরাজের নামটা যোগ দিতে বলিয়াছি।
২। নিচের ছবিতে ইন্ডিয়া ও মায়ানমারের সমুদ্রসীমার দাবিটা দেখুন। কিরূপে তাহারা দুইপা প্রশস্ত করিয়া দুই পাশ হইতে আমাদের চাপিয়া দিতে চাহিতেছেন।
অতীতে একই বিছানার নিজ শেয়ার প্রতিষ্ঠা করিতে আমার জোষ্ঠ্য ভ্রাতাও এইরূপে পা ছড়াইয়া সমগ্র বিছানার দখল লইত।
ক্ষুদ্র ছিলাম বিধায় জড়সড় হইয়া ঘুমাইতাম, তেমন একটা 'রা' করিতাম না। তবে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত ও মায়ানমারের এহেন দাবির কারন, বিছানা নহে, সমুদ্রের মাছ শিকারও নহে বরং উহার তলদেশের কোটি কোটি টাকার তেল-গ্যাস। আমাদের প্রাপ্য সীমানাটা নীল দাগ বরাবর... সমান্তরাল লাইন। অপরের জায়গা চাইনে...নিজেরটুকু পাইলেই খুশি। তবে সরকার মশায় সেদিকে কোন খেয়াল আছে কিনা না, জানা নাই।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কোন সমুদ্রসীমা দাবিই করে নাই। উনারা "জলীল সাহেব মানসিক বা মাসিক ভারসাম্যহীন কিনা" তা লইয়া ব্যাপক গবেষনায় ব্যস্ত।
প্রথম কথায়, মাইনে "পাগল ও শিশুর" রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কথায় ফিরিয়া যাই। কেন জানি মনে হইতেছে আপোষহীন নেত্রীকে দার্শনিক উপাধি দেয়া উচিত। দেশে আসলেই "দেশ স্বার্থ" দেখিবার কেহ নাই।
কেহই নিরপেক্ষভাবে দেশের স্বার্থ দেখিতে পায় না। সকলেই হয় লীগার, জামাতী বা জাতীয়তাবাদীর চোখে স্বার্থ দেখে। আফোসস হইল অই সব চর্মচোক্ষে দেশের স্বার্থ দেখা যায় না। জাতি হিসেবে বাঙ্গালির মতো নিঃস্বার্থ বোধ করি আর কেহই নহে!
নিজের ও নিজ ভবিষ্যত বংশধরদের বিবিধ সমস্যা নিয়া চিন্তা না করিয়া আপনি যে নিশ্চিন্তে টিভিতে প্যাকেজ নাটক, টক শো আর ঘন্টায় ঘন্টায় খবরে রাজনৈতিক ক্লাউনের নাচাপিচা দেখিয়া হাততালি দিতেছেন... বলি "জনাব, আপনার মানসিক ভারসাম্য কোন দিকে হালিয়া আছে?"
অন্যান্য লেখা
তেল-গ্যাস বুঝো না, স্বাধীনতা বুঝো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।