The only person u should try to be better than, is the person u were yesterday. থাবা বাবাকে নিয়ে সব জায়গাতেই ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা চলছে। তাকে নাকি শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এতে একটা গুষ্ঠি চরম নারাজ। আমিও কিছুটা তাদেরই দলে ... কিন্তু আমার কিছু কথা আছে।
শহীদ কথাটার অর্থ কিন্তু এক এক গুষ্ঠির কাছে এক এক রকম।
একাত্তুরের যুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধ করে যারা মারা গিয়েছে তাঁরা আমাদের কাছে শহীদ হিসেবে পরিচিত। আবার পাকিস্থানের যেসব সৈনিক মারা গিয়েছে, তারা আমাদের কাছে ঘৃণার বস্তু বলে বিবেচিত হলেও পাকিস্থানিদের কাছে ‘শহীদ’। তার মানে একই ব্যাক্তি দুটি দলের কাছ থেকে দুই রকম উপাধি পাচ্ছে। এখানে দেখার বিষয় হচ্ছে এই দুই পক্ষের স্বার্থের সাথে জড়িত নয় অন্যান্য বেশীর ভাগ ব্যাক্তিরা ঐ ব্যক্তিটাকে কি উপাধি দিচ্ছে। যদি বেশীর ভাগ লোক ‘থাবা বাবা’ কে ‘শহীদ’ উপাধি দিতে চায়, তাহলে ধরে নিতে হবে সে আসলেই ‘শহীদ’।
তবে আমি ‘থাবা বাবা’ কে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতেই বেশী পছন্দ করবো, শহীদ হিসেবে নয়।
বাক স্বাধীনতা সবারই আছে, তাই বলে খিস্তি দেওয়ার অধিকার কারোরই নেই। আমিও নাস্তিক, তাই বলে আমি কখনোই কোনো ধর্মকে ছোট চোখে দেখি না। দুঃখজনক হলেও এই কথা সত্যি যে ‘থাবা বাবা’ বিভিন্ন জায়গায় ইসলাম ধর্মকে চূড়ান্তভাবে অপমানিত করেছে। তাই বলে কি তাকে জবাই করে মেরে ফেলতে হবে ? একটা মানুষের জীবণ কি এতোই সস্তা !! আর ইসলামের ভিত্তি কি এতই দূর্বল যে, একজন তুচ্ছ ব্যাক্তির অপরিপক্ক বাক স্বাধীনতার কারণে নির্মমভাবে মেরে ফেলতে হবে !! আমি অন্তত তাই মনে করি না।
আমি আবারও বলছি, আমি কট্টরভাবে নাস্তিক। কিন্তু আমি আজও বিশ্বাস করি ইসলাম সত্যিকার অর্থেই শান্তির ধর্ম। এই ধর্মটাকে অস্ত্র বানিয়ে ইসলামকে আর ছোট করবেন না। আর কারো প্রাণই ছেলের হাতের পুতুল নয় যে ভেংগে আবার জোড়া লাগতে পারবেন। যতই হোক না সে উন্মাদ নাস্তিক... সে আপনার স্রষ্টারই তৌরি করা একজন মানুষ।
আর আপনি যদি সত্যিই একজন আস্তিক হয়ে থাকেন তাহলে কখনোই এই নির্মম হত্যাকান্ডকে সমর্থন করতে পারেন না... কখনোই না... কিছুতেই না...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।